ধোনির বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ
বড়সড় একটা বোমাই ফাটিয়েছেন ভারতের সাবেক টিম ম্যানেজার সুনীল দেব। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তুলেছেন ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরের টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটা পাতানো ছিল বলে দাবি করেছেন ভারতের তৎকালীন টিম ম্যানেজার। ম্যাচটা ভারত হেরেছিল ইনিংস ও ৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
ভারতের দৈনিক সান স্টারের একটি গোপন ভিডিওতে ধোনির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে সুনীল দেবকে। ম্যাচ শুরুর আগে টস জিতলে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই ম্যাচে ধোনি শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক জিওফ বয়কটও ধোনির এ সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিলেন বলে দাবি করেন সুনীল। ধোনি যে ম্যাচটা হারার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে তিনি নাকি শতভাগ নিশ্চিত।
বিষয়টি সে সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সুনীল। বর্তমানে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সুনীল বিষয়টি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তাঁর কথা নাকি কেউই কানে তোলেনি। বিষয়টি তখনই কেন গণমাধ্যমকে জানাননি—এমন প্রশ্নের জবাবে সুনীল বলেছেন, প্রাণভয়ে তিনি এই কথা বাইরের কাউকে বলেননি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল ১৫২ রানে। ধোনি খেলেছিলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস। জবাবে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড করেছিল ৩৬৭ রান। ২১৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল ১৬১ রানে। ইনিংস ও ৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
তবে সুনীলের এই ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ভারতের বিচারপতি মুকুল মুডগাল। তাঁর নেতৃত্বেই গঠিত হয়েছিল আইপিএলের ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারির তদন্ত কমিটি। সুনীলের কথায় সত্যতা থাকলে সেটা সবাইকে জানানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মুডগাল। শুধু একজনের পক্ষে একটা ম্যাচ পাতানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন মুডগাল। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচ পাতানোর ঘটনা অহরহ ঘটে না। দলের বড় দু-তিনজন খেলোয়াড় জড়িত না থাকলে ম্যাচ পাতানো সম্ভব নয়।’