নাটকীয় জয়ে বাংলাদেশ তৃতীয়
কোয়ার্টার ফাইনাল-সেমিফাইনালের পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে অর্ধশতকের আনন্দ। শেষ চারের লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া বাংলাদেশও পেয়েছে তৃতীয় হওয়ার সান্ত্বনা। শনিবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে নাটকীয়ভাবে তিন উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২১৫ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে স্বাগতিকদের খেলতে হয়েছে ৪৯ ওভার তিন বল।
ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সূচনা অবশ্য ভালো হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় বলেই জাকির হাসানকে (০) বোল্ড করেছেন আসিথা ফার্নান্দো। দলীয় এক রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার পর অন্য ওপেনার জয়রাজ শেখ ও জাকের আলীর দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েছেন দুজনে। ২৬ রান করে আউট হয়েছেন জয়রাজ। জাকেরের অবশ্য ভাগ্য খারাপ। ১৯ রানে থাকার সময় পায়ের পেশিতে টান পড়ায় মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছে তাঁকে। পরে অবশ্য তিনিই বাংলাদেশের জয়ের নায়ক!
দলীয় ৬১ রানে জাকের মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর জুটি বেঁধেছেন মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৮৬ রানের জুটি গড়ার পরই ছন্দপতন, শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে মিরাজ রানআউট! মিরাজের ৬৬ বলে ৫৩ রানের আরেকটি অধিনায়কোচিত ইনিংস দুটি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো।
অধিনায়কের বিদায়ের দুই ওভার পর আরেকটি ধাক্কা। ৪০ রান করে শান্তও রানআউটের ফাঁদে পড়েছেন। হঠাৎ করে দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বাংলাদেশ তখন বেশ অস্বস্তিতে। তবে শফিউল হায়াত, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আর চোট কাটিয়ে ফিরে আসা জাকেরের দৃঢ়তা জয় এনে দিয়েছে লাল-সবুজের দলকে। হায়াত ২১ আর সাইফুদ্দিন ১৯ রান করে আউট হয়ে গেলেও জাকের বিচলিত হননি। ৩১ রানে অপরাজিত থেকে তিন বল হাতে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২১৪ রান করে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ব্যাটিংয়ের আগে বল হাতেও জ্বলে উঠে ২৮ রানে তিন উইকেট নেন মিরাজ। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই জ্বলে ওঠা বাংলাদেশ অধিনায়কই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।