প্রকৃতির সান্নিধ্যে টেন্ডুলকার
অবসরের পর হাতে এখন অফুরন্ত সময়। তবে তাই বলে শুয়ে-বসে দিন কাটাচ্ছেন না শচীন টেন্ডুলকার। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ভালোই সময় কাটছে ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যানের। এখন অবশ্য তিনি ছুটির মেজাজে। নিজের রাজ্য মহারাষ্ট্রের একটি অভয়ারণ্যে বেড়াতে গেছেন ভারতের ব্যাটিং-কিংবদন্তি।
স্ত্রী অঞ্জলি আর ছেলে অর্জুনকে নিয়ে বেড়ানোর জন্য টেন্ডুলকার বেছে নিয়েছেন পূর্ব মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চল। অবশ্য এ নিয়ে কিছুটা রহস্য করতেও ছাড়েননি। হ্যাট পরে সেলফি তুলে টুইটারে তা পোস্ট করে ভক্তদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘প্রকৃতি মাতার উচ্ছ্বাসে আপ্লুত! প্রকৃতির মাঝে আমাকে খুঁজে বের করুন। আমি কোথায় আছি তা অনুমান করুন। সূত্র : মহারাষ্ট্রের কোনো এক জায়গা!’
টেন্ডুলকারের অজস্র ভক্তের মধ্যে মার্ক বাউচার অন্যতম। প্রিয় ক্রিকেটারের টুইটের নিচে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক উইকেটরক্ষকের রিটুইট, ‘দারুণ লাগছে সাচ! দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে আমার সঙ্গে গণ্ডার নিয়ে কাজ করতে পারো। এটার ভীষণ প্রয়োজন। সঙ্গে লুইস হ্যামিল্টনকেও নিয়ে এসো!’ সতীর্থ আর প্রতিপক্ষের অনেকের কাছে টেন্ডুলকার ‘সাচ’ নামেই বেশি পরিচিত। আর লু্ইস হ্যামিল্টন হলেন বিখ্যাত ফর্মুলা ওয়ান রেসিং ড্রাইভার।
টেন্ডুলকার রহস্য করে টুইট করলেও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নাগপুরের কাছেই উমরেদ-কারহান্দলা অভয়ারণ্যে বেড়াতে গেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি শতকের মালিক। বন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে একটা ছবিও তুলেছেন ভারতের ‘ক্রিকেট-ঈশ্বর’।
উমরেদ-কারহান্দলায় অনেক বাঘের বসবাস। গত বছরের আগস্টে মহারাষ্ট্রের প্রকৃতিবিষয়ক মন্ত্রী সুধীর মানগান্তিওয়ারের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে রাজ্যটির ‘টাইগার অ্যাম্বাসেডর’ হতে রাজি হয়েছেন টেন্ডুলকার। হয়তো বিপন্ন প্রাণীটিকে রক্ষা করতেই তাঁর এই সফর।