পিএসএলের গুরুত্ব বোঝাতে বিপিএলকে টানলেন মিসবাহ
২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। যদিও ২০ ওভারের ক্রিকেটে এরপর আর তেমন সাফল্য পায়নি। ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তারা নেমে গেছে ষষ্ঠ স্থানে। তবে হতাশার মাঝেই আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন মিসবাহ-উল-হক। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, পিএসএলের হাত ধরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়াবেই। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক উদাহরণ টেনেছেন বাংলাদেশের বিপিএল আর ভারতের আইপিএলের।
সদ্য সমাপ্ত পিএসএলে মিসবাহর দলের জয়জয়কার। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ছয় উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। জয়সূচক রান এসেছে মিসবাহর ব্যাট থেকেই।
ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ডোয়াইন স্মিথ আর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ব্র্যাড হ্যাডিনের পাশাপাশি পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এই সাফল্য এনে দিয়েছে ইসলামাবাদকে। টুর্নামেন্ট-সর্বোচ্চ ৩৩৫ রান করে ইসলামাবাদের সাফল্যে বড় অবদান রেখেছেন উমর আকমল। পুরো টুর্নামেন্টে একমাত্র শতক করা শারজিল খান আর একটি ম্যাচে পাঁচটি উইকেটসহ মোট ১২ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ সামি তো জাতীয় দলেই ফিরেছেন অনেক দিন পর।
দলীয় সাফল্যে মিসবাহ স্বাভাবিকভাবেই খুশি। তবে জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও পিএসএলকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট বলে মনে করছেন পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, ‘আমি নিশ্চিত, পাকিস্তান সুপার লিগ পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের অনেক সাহায্য করবে। ঠিক আইপিএল ভারতীয় আর বিপিএল বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে যা করেছে। বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন। তারা বিপিএলের কারণে ক্রমেই উপরে উঠছে। তাই আমাদেরও পিএসএলের সুফল কাজে লাগাতে হবে অদূর ভবিষ্যতে।’
পিএসএলের প্রথম আসর পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভালোই সাড়া ফেলেছে। দুবাই আর শারজায় হলেও খেলা চলার সময় পাকিস্তানের বহু ক্রিকেটপ্রেমী ভিড় জমিয়েছেন টিভির সামনে। কয়েকটি বড় শহরে বিশাল স্ক্রিনে ফাইনাল খেলা দেখেছেন অনেকেই। কেভিন পিটারসেন, শেন ওয়াটসনের মতো তারকারা উচ্চকণ্ঠে প্রশংসা করেছেন পিএসএলের। প্রতিযোগিতার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজাম শেঠির কাছে পিএসএলের প্রথম আসর ছিল ‘পাকিস্তানের জন্য সাফল্য’।
মিসবাহরা তাই আশায় বুক বাঁধতেই পারেন।