বাঘের থাবায় সিংহ কাত
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে চারবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়ে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। রোববার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে করলেন শ্রীলঙ্কা বধ। ২৩ রানের দুর্দান্ত জয় দিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার আশাও বেশ ভালোমতো টিকিয়ে রাখলেন মাশরাফিরা। জয়ের জন্য ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২৪ রানেই থেমে গেছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ এই জয়ের পর ২০১২ সালের পর এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার আশা জোরদার করেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে দুই জয় দিয়ে ভারত আছে শীর্ষে। তিন ম্যাচ শেষে দুই জয় দিয়ে বাংলাদেশ আছে দ্বিতীয় স্থানে। দুই ম্যাচে একটি জয়ের পর শ্রীলঙ্কা আছে তৃতীয় স্থানে। পাকিস্তান ও আরব আমিরাত এখনো পায়নি জয়ের দেখা।
সাব্বির রহমানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ১৪৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ। বল হাতে শুরুটা অবশ্য হয়েছিল হতাশা দিয়ে। আরব আমিরাতের ম্যাচের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও প্রথম ওভারে ক্যাচ মিস করেছিলেন স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকার। তবে সাকিব আল হাসানের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে অনেকটা দৌড়ে এসে সেই সৌম্যই ধরেছেন দারুণ এক ক্যাচ। ১২ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ওপেনার তিলকারত্নে দিলশানকে। সৌম্যর ক্যাচ মিসের সুবাদে শূন্য রানে জীবন পেয়ে চান্দিমাল শেষপর্যন্ত খেলেছেন ৩৭ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে সেহান জয়সুরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে চান্দিমাল গড়েছিলেন ৫৬ রানের জুটি। একাদশ ওভারে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মাহমুদউল্লাহ। ৩৭ রান করে ফিরে যান চান্দিমাল। পরের ওভারে জয়সুরিয়াকেও দারুণভাবে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফিরিয়েছেন সাকিব। ১৪তম ওভারে থিসারা পেরেরাকে আউট করে বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান মুস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে মিলিন্দা সিরিবর্ধনের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের উইকেট তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন আল-আমিন।
বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন। দুটি উইকেট গেছে সাকিবের ঝুলিতে। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফি ও মুস্তাফিজ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো নৈপুণ্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়লেও বাংলাদেশ সাব্বির রহমানের ৫৪ বলে ৮০ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসের সুবাদে স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ১৪৭ রান। ৩২ রান করেছেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা গড়েছিলেন ৮২ রানের জুটি। শেষপর্যায়ে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১২ বলে ২৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস।