তামিমের ব্যাটে বাংলাদেশের ১৫৩
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেকদিন ধরেই নিষ্প্রভ হয়ে ছিলেন তামিম ইকবাল। শেষবারের মতো অর্ধশতকের ইনিংস খেলেছিলেন ২০১২ সালে। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুটা দারুণভাবেই করলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৫৮ বলে ৮৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। তামিমের অপরাজিত এই ইনিংসে ভর করে নেদারল্যান্ডসকে ১৫৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু আইসিসির সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি অধিকাংশ ব্যাটসম্যান। ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে প্রায় একাই লড়েছেন তামিম।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশ হারিয়েছিল সৌম্য সরকারের উইকেট। সৌম্য সাজঘরে ফিরতে পারতেন প্রথম ওভারেই। বাউন্ডারি লাইনে সহজ একটি ক্যাচ মিস করেছিলেন ভন মেকেরে। দুই রানের মাথায় জীবন পেয়ে সৌম্য লম্বা ইনিংস খেলতে পারবেন এমনটাই হয়তো আশা করেছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। কিন্তু চতুর্থ ওভারে ১৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। নবম ওভারে সাব্বিরও আউট হয়েছেন ১৫ রান করে। একাদশ ওভারে আউট হওয়ার আগে সাকিব করতে পেরেছেন মাত্র ৫ রান। দারুণ ফর্মে থাকা মাহমুদউল্লাহও জ্বলে উঠতে পারেননি। ফিরে গেছেন ১০ রান করে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহিম। মাত্র ৩ রান এসেছে নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে। শেষপর্যায়ে মাশরাফির ৭ ও আরাফাত সানির ৮ রানে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৫৩ রান জমা করেছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ শেষ করেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কারণে ধর্মশালার অপরিচিত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার খুব বেশি সময় পাননি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ইনজুরি কাটিয়ে এখননো মাঠে ফিরতে পারেননি তরুণ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে তিন পেসারের দল নিয়ে। আবু হায়দার রনির পরিবর্তে দলে এসেছেন আরাফাত সানি।
বাংলাদেশ দল : তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, নাসির হোসেন, মাশরাফি মুর্তজা, তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, আল-আমিন হোসেন