দুজনেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জাতীয় দলেও দুজনের প্রবেশ প্রায় কাছাকাছি সময়ে। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল এবার নতুন একটি রেকর্ড ছোঁয়ার দোরগোড়ায়। টি-টোয়েন্টিতে হাজার রানের মালিক হতে দুজনই প্রায় কাছাকাছি।

কিছুটা এগিয়ে তামিম, ৪৮ ম্যাচে ৯৮৯ রান করেছেন তিনি। আর ১১ রান করলেই তিনি গড়ে ফেলবেন নতুন রেকর্ড। তা ছাড়া তিনি এখন আছেন ফর্মের তুঙ্গে। কোনো অঘটন না ঘটলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বাকাপের বাছাই পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এই ওমানের ম্যাচে এই রেকর্ড গড়ে ফেলতে পারেন তিনি।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তামিম ৮৩ রানের হারনামানা অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন। আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচেও ৪৭ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। আজ তিনি ১১ রান করতে পারেন তাহলে প্রথম কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হাজার রানের মালিক হবেন তামিম।

বন্ধু তামিমের প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি ৪৯ ম্যাচে ৯৭৯ রান করে, নতুন এই রেকর্ড থেকে ২১ রান দূরে।

অবশ্য সাকিবের ফর্ম খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। ধর্মশালায় গত দুই ম্যাচের একটিতেও তিনি ব্যাটহাতে সাফল্য পাননি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেন। আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে কোনো রান যোগ করতে পারেননি নিজের ঝুলিতে।

এ ছাড়া সাকিব এরই মধ্যে বলহাতে ৫০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সংগ্রহ এখন ৫৫ উইকেট।

টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেট নিতে পেরেছেন একজন ক্রিকেটারই, পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার ৯৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৩১৫ রান করেছেন এবং উইকেট নিয়েছেন ৯৩টি।

সাকিব যদি আজ ব্যাট হাতে সাফল্য পান তাহলে তিনি হবেন ইতিহাস গড়া দ্বিতীয় ক্রিকেটার, যিনি এক হাজার রান ও ৫০টি উইকেট নিতে পেরেছেন।