দাপুটে জয়ে সুপার টেনে বাংলাদেশ

ধর্মশালার আবহাওয়া যে বড়ই বৈচিত্র্যপূর্ণ তা কারোরই অজানা নয়। এর প্রমাণ মেলেছে বোরবার বাংলাদেশ-ওমান ম্যাচে। বৃষ্টির বাগড়ায় কয়েকবার খেলা বন্ধ হওয়ার পর আবার মাঠে গড়িয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বৃষ্টিতে দুবার বন্ধ হওয়ায় ওমানের সামনে কঠিন লক্ষ্য দাঁড়ায়। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে তাদের সামনে লক্ষ্য দেওয়া হয় ১২ ওভারে ১২০ রান। কিন্তু নির্ধারিত ১২ ওভারে তারা তুলেছে মাত্র ৬৫ রান। হারিয়েছে ৯ উইকেট। তাই বড় ব্যবধানেই হেরেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ওমান। বাংলাদেশ দাপুটে জয়ে সুপার টেনে উঠে যায়।
প্রথমে তামিম ইকবালের অসাধারণ এক শতকে ১৮০ রানের বিশাল সংগ্রহ, পরে বাংলাদেশ বোলারদের তোপে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটি ব্যাটিংলাইন যেন তাসের ঘরের মতো উড়ে যায়।
ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় টসে হেরে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নামে। তামিমের অসাধারণ এক শতক ও সাব্বির রহমানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষের সামনে কঠিন লক্ষ্য ছুড়ে দেয় মাশরাফিরা।
তামিম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাত্র ৬৩ বলে ১০৩ রান করেন। এই ইনিংসটাকে তিনি সাজিয়েছেন দশটি চার ও পাঁচটি ছক্কায়। তাই দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম শতক করেন তিনি। একটি নতুন রেকর্ডও গড়েন। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে হাজার রান করেন তিনি।
পরে বোলারদের তোপে দুর্বল ওমান যেন একরকম কোণঠাসা হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান একাই বল হাতে ওমানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান। তিন ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল তাঁরই।
এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম সাত ওভার খেলা শেষ হওয়ার পর বৃষ্টি হানা দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়। তাই ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ওমানের সামনে ১৬ ওভারে ১৫২ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়।
কিন্তু অল্প কিছুক্ষণ খেলা হওয়ার পর আবার বৃষ্টি হানা দেয়। তাই আবার খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ১ দশমিক ২ ওভারে তারা দলের ইনিংসে যোগ করে মাত্র চার রান। হারায় দুই উইকেট।
ওমানের সামনে কঠিন লক্ষ্য এসে পড়ে ১২ ওভারে ১২০ রান। কিন্তু দুর্বল দলটির পক্ষে সম্ভব হয়নি এই কঠিন লক্ষ্য পার হওয়া। তাই বড় ব্যবধানে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।