ইডেনে পাক-ভারত সম্প্রীতি
ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়ে কম নাটক হয়নি। দুই দেশের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে অনেক টানাপড়েন শেষে একেবারে শেষমুহূর্তে ভারতে পা রেখেছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। পাক-ভারত ম্যাচের ভেন্যু ধর্মশালা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল কলকাতায়। এতকিছুর পর শেষপর্যন্ত যখন ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর সময় হলো, তখন দারুণ এক মুহূর্তই উপভোগ করলেন দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমী ও শান্তিপ্রেমী মানুষরা। দুই দেশের ছয় কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা জানানোর মাধ্যমে সম্প্রীতির দারুণ এক নজিরই গড়লেন আয়োজকরা।
ইডেন গার্ডেনসে পাকিস্তানের পক্ষে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান, কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম ও পাকিস্তানের বর্তমান কোচ ওয়াকার ইউনুসকে। ভারতের পক্ষে সম্মান পেয়েছেন তিন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দর শেবাগ। দুই দেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের এই মিলনমেলার উজ্জ্বলতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। মাঠে ব্যাট-বলের লড়াই শুরুর আগে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে যেন ছড়িয়ে দেওয়া হলো শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা।
শচীন টেন্ডুলকার তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আবারও স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। আশা করেছেন এক জমজমাট ক্রিকেট ম্যাচের। পাকিস্তানের কিংবদন্তি অধিনায়ক ইমরান খান সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ইডেন গার্ডেনসে তাঁর শেষ ম্যাচটির কথা। ১৯৮৯ সালের সেই ম্যাচে পাকিস্তান ৭৭ রানে হারিয়েছিল ভারতকে। এবার আফ্রিদিরাও যেন সেই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেন, তেমনটাই আশা পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের।
এত আয়োজনের সব কিছুই অবশ্য ভেস্তে যেতে বসেছিল বৃষ্টির বাধায়। কলকাতায় সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি পাক-ভারতের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। তবে নতুন করে বৃষ্টি না আসায় দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে আফ্রিদি-ধোনিদের ব্যাট-বলের লড়াই।