সুয়ারেজের এক হালি, বার্সেলোনার দুই হালি
টানা তিনটি ম্যাচে হারের পর যেন ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। সুযোগ খুঁজছিলেন মোক্ষম একটা জবাব দেওয়ার। বুধবার দেপোর্তিভো লা করুনার মাঠে খেলতে গিয়ে বার্সেলোনা সত্যিই সব সমালোচনার জবাব দিয়েছে দারুণভাবে। আর কাতালানদের রোষের সামনে চরম দুরবস্থায় পড়তে হয়েছে দেপোর্তিভোকে। মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই হালি গোল হজম করে। লুইস সুয়ারেজের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানের জয় দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বার্সেলোনা। নিজে চারটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়েও তিনটি গোল করিয়েছেন সুয়ারেজ।
লা লিগার অপর দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী আতলেতিকো ও রিয়াল মাদ্রিদও। অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেছেন ফার্নান্দো তোরেস। আর নিজেদের মাঠে ভিলারিয়ালের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে ৩-০ গোলে।
দেপোর্তিভোর বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছেন বার্সেলোনার তারকা ফুটবলাররা। ১১ ও ২৪ মিনিটে দুটি গোল করে শুরুটা দারুণভাবে করেছিলেন সুয়ারেজ। বার্সেলোনা প্রথমার্ধ শেষ করেছিল এ দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে। কিন্তু এতে যেন মন ভরছিল না বার্সেলোনার তারকাদের। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁরা যেন মাঠে নেমেছিলেন গোল উৎসবের পরিকল্পনা নিয়ে। ৪৭ মিনিটে সুয়ারেজের পাস থেকে বল পেয়ে দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন ইভান রাকিতিচ। ৫৩ ও ৬৪ মিনিটে সুয়ারেজ নিজেই করেন আরো দুটি গোল। এরপর দলের গোল উৎসবে যোগ দেন মেসি, নেইমার ও মার্ক বাত্রা। মেসি ম্যাচের ষষ্ঠ গোলটি করেন ৭৩ মিনিটে। ৭৯ মিনিটে আরেকটি গোল করেন বাত্রা। আর দুই মিনিট পরে দেপোর্তিভোর কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন নেইমার। মেসি-নেইমার; দুজনের গোলেরই নেপথ্য কারিগর ছিলেন সুয়ারেজ।
লা লিগার এবারের মৌসুমে সুয়ারেজ করেছেন ৩০ গোল। এবারের মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে রোনালদোর সঙ্গে পাল্লা দিয়েই লড়ছেন এই উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। ৩১ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা রোনালদো।