‘তার নাম মুখেও আনতে চাই না’
‘যে ব্যক্তি ক্রিকেটকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, যার হাত ধরে ক্রিকেট কলুষিত হয়েছে, তার নাম মুখেও আনতে চাই না।’ বুধবার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিসি সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া আ হ ম মুস্তফা কামাল এভাবেই আইসিসি চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মুস্তফা কামালের বক্তব্যের বড় অংশজুড়ে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি শ্রীনিবাসনের সমালোচনা। যদিও তাঁর নাম উচ্চারণ করেননি আইসিসির বিদায়ী সভাপতি। কোনো সাংবাদিক শ্রীনিবাসনের নাম ধরে প্রশ্ন করলেও তাঁকে থামিয়ে দিয়েছেন তিনি।
শ্রীনিবাসনের মতো ব্যক্তি আইসিসিতে থাকলে তা ক্রিকেটের ‘ক্ষতি’ করবে বলেই অভিমত মুস্তফা কামালের, ‘যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যিনি মামলায় জর্জরিত সেই ব্যক্তি আইসিসির কোনো দায়িত্বে থাকলে তা ক্রিকেটের ক্ষতিই করবে। নিজের দেশেই তো এই বিতর্কিত কর্মকর্তা ক্রিকেটের কোনো উন্নতি করতে পারেন না।’
আইপিএলে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে গত মাসে অনুষ্ঠিত বোর্ড নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি শ্রীনিবাসন। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে অনেক চাপের মুখে বিসিসিআই সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। তখন অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে শ্রীনিবাসন ক্ষমতা ফিরে পেলেও সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি।
শ্রীনিবাসনের কারণেই আইসিসি সভাপতি হয়েও বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে অস্ট্রেলিয়ার হাতে ট্রফি তুলে দিতে পারেননি মুস্তফা কামাল। অথচ আইসিসির সংবিধান অনুযায়ী তাঁরই এই সম্মান পাওয়ার কথা। আইসিসির সংবিধান লঙ্ঘন করায় শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির সাবেক সভাপতি বলেন, “আমি এই ‘নোংরা’ মানুষটার বিরুদ্ধে মামলা করার পক্ষে নই। যার গায়ে দুর্গন্ধ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে আমি নিজেকে ছোট করতে চাই না!”
মুস্তফা কামালের অবশ্য আইসিসির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, ‘আমার অভিযোগ বিশেষ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আইসিসির বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যে ব্যক্তি ক্রিকেটকে ক্ষত-বিক্ষত করেছেন, ক্রিকেটকে কলুষিত করেছেন তাঁর বিচার একদিন হবেই। সেই সময়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’