মাশরাফি-মুস্তাফিজের অন্য রকম বিকেল
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/06/17/photo-1466150824.jpg)
তারা হয়তো আর দশটা শিশুর মতো স্বাভাবিক নয়। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজা আর মুস্তাফিজুর রহমানকে তারাও চেনে। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেট তারকার খেলা দেখে তারাও উচ্ছ্বসিত হয়। মানসিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে থাকা এই শিশুদের সান্নিধ্যে এসে মাশরাফি আর মুস্তাফিজও দারুণ খুশি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পিএফডিএ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের শিশুদের দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। মাশরাফি-মুস্তাফিজকে কাছে পেয়েছে তারা। শিশুদের সঙ্গে ‘ম্যাশ’ আর ‘ফিজ’ ক্রিকেট খেলেছেন, তাদের অটোগ্রাফ দিয়েছেন, অংশ নিয়েছেন ইফতারেও।
এই ‘বিশেষ’ শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রতিভা বিকশিত করাই পিএফডিএ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য। সংগঠনটির শিশুদের তৈরি বিভিন্ন জিনিস মুগ্ধ করেছে মাশরাফি আর মুস্তাফিজকে। এই শিশুদের সঙ্গে দুই ক্রিকেট তারকার সাক্ষাতের আয়োজক ছিল জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাশরাফি একটা আর্জিও জানিয়েছেন সবার কাছে। ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’-এর সবার প্রতি আহ্বান, ‘এদের জন্য শুধু শুকনো সহানুভূতি আর মমতা যথেষ্ট নয়। এই শিশুদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। আমি এই শিশুদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। শুধু আমি বা মুস্তাফিজ না, অন্য ক্রিকেটাররাও নিজেদের জায়গা থেকে এদের জন্য কিছু করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। এ ব্যাপারে প্রত্যেকেরই কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’
সঠিক প্রশিক্ষণ আর নির্দেশনা পেলে এই শিশুরাও যে অনেকদূর যেতে পারবে, তা নিয়ে মাশরাফির মনে কোনো সন্দেহ নেই, ‘বেশির ভাগ সময় আমরা এই বিশেষ শিশুদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করতে ব্যর্থ হই। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে তারাও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ। সঠিক প্রশিক্ষণ আর যত্ন পেলে তাদের ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল।’