সন্দেহের খাতায় ১৩-১৪ বোলার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পরপরই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনাটির পর বেশ সতর্ক হয়ে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখার আগেই যেন বোলারদের সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন শুধরে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করছে বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে প্রশ্ন উঠেছে অন্তত ১৩ জন বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। ঈদের ছুটির পর শুরু হবে তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সপ্তাহে ছয়জনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন আম্পায়াররা। এঁদের মধ্যে ছিলেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র, ফয়সাল হোসেন, মমিনুল ইসলাম, রেজাউল করিম, অমিত কুমার ও অফস্পিনার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রিমিয়ার লিগের বাকি সময়ে এঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো সাত-আটজনের নাম। বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অন্তত ১৩ থেকে ১৪ জন বোলারের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঈদের পরেই আমরা তাদের নিয়ে কাজ শুরু করব। সাবেক স্পিনার ওমর খালেদ এবং সাবেক দুই পেসার দিপু রায় চৌধুরী ও গোলাম ফারুক তাদের নিয়ে কাজ করবেন। যদি খালি চোখে বা ক্যামেরাতে তাঁদের অ্যাকশনের ত্রুটি ধরা পড়ে, তাহলে আমাদের সেগুলো শুধরে নিতে হবে। এরপর যদি সেই বোলাররা শুধরে নেওয়া অ্যাকশনে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করতে পারেন, তাহলে খেলতে পারবেন আগামী বছরের লিগে। আর যদি আবারও তাঁদের অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট আসে তাহলে নিষিদ্ধ করা হবে এক বছরের জন্য।’
অবৈধ বোলিং অ্যাকশন শুধরে নেওয়ার কাজে সহায়তার জন্য কার্ডিফ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছেন জালাল ইউনুস। প্রযুক্তিগত নানা বিষয়ে সহায়তা নেওয়া হবে আইসিসি থেকেও।