এ শতাব্দীর শুরুতে টেনিস বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণ ছিল দুই উইলিয়াম বোনের লড়াই। ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ছয়টি গ্রান্ড স্লামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন সেরেনা ও ভেনাস উইলিয়ামস। দীর্ঘদিন পর আবারও জেগেছিল একটি ‘অল-উইলিয়ামস’ ফাইনাল দেখার সম্ভাবনা। কিন্তু শেষপর্যন্ত হতাশ করেছেন ভেনাস। ছোটবোন সেরেনা ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারলেও ভেনাস বিদায় নিয়েছেন সেমিফাইনাল থেকে।

গ্রান্ড স্লামের সর্বশেষ সাতটি আসরের ছয়টিতেই ফাইনালে উঠেছিলেন সেরেনা। এবারের উইম্বলডনের ফাইনালেও সহজেই জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সেমিফাইনালে রাশিয়ার এলেনা ভেসনিনাকে হারিয়েছেন ৬-২, ৬-০ গেমে। কিন্তু ছোট বোনের মতো সেমিফাইনালের বাধা পেরোতে পারেননি ভেনাস। শেষ চারের লড়াইয়ে জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কারবারের বিপক্ষে হেরে গেছেন ৬-৪, ৬-৪ গেমে।

এর আগে আট বার গ্রান্ড স্লামের ফাইনালে লড়তে দেখা গেছে সেরেনা ও ভেনাসকে। এর মধ্যে চারটিই ছিল উইম্বলডনে। শেষবারের মতো তাঁরা কোনো গ্রান্ড স্লামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন ২০০৯ সালে।

এবারের উইম্বলডনের সেমিফাইনাল পর্যন্ত এসেই অবশ্য চমক জাগিয়েছেন ভেনাস। ২০১০ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে পা রেখেছিলেন সাবেক এই শীর্ষ তারকা। গত পাঁচ বছরে ভেনাসকে কোয়ার্টার ফাইনালেই দেখা গেছে মাত্র দুইবার।

অন্যদিকে ছোট বোন সেরেনা গত কয়েক বছর ধরে দেখাচ্ছেন দুর্দান্ত নৈপুণ্য। গত বছর চারটি গ্রান্ড স্লামের তিনটিই উঠেছে সেরেনার হাতে। এ বছরও গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ও ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেননি। এবার উইম্বলডনে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবেন সেরেনা।

এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে অ্যাঞ্জেলিক কারবারের বিপক্ষে হেরে হতাশ হতে হয়েছিল সেরেনাকে। এবার উইম্বলডনের ফাইনালে সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগও পাচ্ছেন ২১টি গ্রান্ডস্লামজয়ী এই মার্কিন তারকা।