স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবে ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা দল
গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর সংশয়েই পড়ে গেছে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি। অস্ট্রেলিয়ার মতো ইংল্যান্ডও শেষমুহূর্তে সফরটি স্থগিত ঘোষণা করবে কি না, সে আশঙ্কায় আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গন। সবকিছুই এখন নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রতিনিধিদলের প্রতিবেদনের ওপর, যে দলটির বাংলাদেশে আসার কথা আগামী বুধবার। তিন দিনের এই সফরে ইংল্যান্ডের এই নিরাপত্তা দল বৈঠক করবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও তাঁরা বৈঠক করবেন।
দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা ইংল্যান্ডের। এই সিরিজ দিয়েই দীর্ঘ ছয় মাস বিরতির পর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ।
নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের পরেই হয়তো জানা যাবে ইংল্যান্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা কয়েক মাস ধরেই ইসিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছি। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা দলের বৈঠকগুলো হবে গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরেও তাঁরা যদি সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান, তাহলে আমরা সেই ব্যবস্থাও করে দেব।’
২০১৫ সালে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কারণে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে বাংলাদেশ সফলভাবেই আয়োজন করেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। সেখানে অংশও নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের তরুণ ক্রিকেটাররা। এই ব্যাপারটাই আশাবাদী করে তুলছে জালাল ইউনুসকে, ‘আমরা এত বড় একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিলাম কোনো সমস্যা ছাড়া। আর সেখানে ইংল্যান্ডও তাদের দল পাঠিয়েছিল। আশা করছি, বিষয়টি তারা মাথায় রাখবে। বাংলাদেশ যদি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের এতগুলো দলকে নিরাপত্তা দিতে পারে, তাহলে একটা দলকে নিরাপত্তা দেওয়া আরো সহজ ব্যাপার।’