বাংলাদেশকে সমীহ করছেন মিসবাহ

‘প্রতিপক্ষকে সম্মান করতেই হবে,’ ‘বাংলাদেশকে সমীহ করতেই হবে’—এ জাতীয় কথা সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকবার বলতে হলো পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককে। না বলে উপায় কী? এবারের বাংলাদেশ সফরে এখনো যে জয়ের দেখা মেলেনি পাকিস্তানের। ওয়ানডে সিরিজ আর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরাজিত হওয়ার হতাশাজনক মুহূর্তগুলোতে অবশ্য মাঠে থাকতে হয়নি মিসবাহকে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসী, তেজোদীপ্ত মনোভাব নিশ্চয়ই নজর এড়ায়নি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের। সে জন্যই হয়তো বারবার বাংলাদেশকে সম্মান না দেখিয়ে, সমীহ না করে উপায় থাকছে না পাকিস্তান অধিনায়কের। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতা নিয়ে পড়ে থাকতে রাখতে রাজি নন মিসবাহ। ব্যর্থতা ভুলে মঙ্গলবার থেকে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় তাঁর কণ্ঠে।
১৯৯৯ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে ওয়ানডেতে হারানোর আনন্দে বাংলাদেশ মেতে উঠেছে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। পরের দুই ম্যাচ জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে মাশরাফির দল। সেই আনন্দোৎসব চলেছে টি-টোয়েন্টিতেও, ৭ উইকেটের আরেকটি সহজ জয়ে। টানা চার ম্যাচ হেরে পাকিস্তান যখন কোনঠাসা তখন বাংলাদেশ দল ফুটছে টগবগে আত্মবিশ্বাসে। এমন একটা দলকে সমীহ না করে উপায় কী? মিসবাহ তাই প্রথম টেস্ট উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘বাংলাদেশকে সমীহ করতেই হবে। ঘরের মাটিতে তারা খুব শক্তিশালী। জিততে হলে আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’
বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো মিসবাহ হতোদ্যম সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টাও করলেন, ‘নিজেদের ওপরে আমাদের ভরসা রাখতে হবে। বিশ্বকাপে বোলাররা ভালো করেছিল। বোলিংই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতার কথা ভুলে আমাদের এখন টেস্টের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’
টানা চার ম্যাচে পরাজয় টেস্ট সিরিজে বাড়তি চাপে রাখবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মিসবাহর দার্শনিকসুলভ উত্তর, ‘চাপ তো জীবনেরই অংশ। এটা সবসময়ই থাকে।’
তবে চাপটা যেন জেঁকে বসে টেস্ট সিরিজে ভালো পারফরম্যান্সের পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াতে না পারে সেটাও হয়তো বুঝতে পারছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।