আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ২০০১ সালে। ক্যারিবীয় কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশ কোচিংয়ে এলেন এই প্রথম। কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই নিলেন বাংলাদেশের পেসারদের দায়িত্ব। মাশরাফি-মুস্তাফিজদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে খুবই খুশি সাবেক এই তারকা পেসার।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নিতে গতকাল শনিবার ঢাকায় এসেছেন ওয়ালশ। আজ রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং নিজের পরিকল্পনা নিয়ে ওয়ালশ বলেন, ‘বাংলাদেশের পেসারদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, এখানে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। তাদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি আমি। আমার মূল কাজ হবে বোলারদের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা নিয়ে আসা।’

তা ছাড়া বিসিবির আগ্রহ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করেছে বলেও মনে করেন এই ক্যারিবীয় কিংবদন্তি, ‘বিসিবি যখন বলেছে, আমিই তাদের প্রথম পছন্দ, তখন বুঝতে পারলাম তারা আমার প্রতি বেশ আগ্রহী। যেটি আমাকে এখানে আসতে উৎসাহিত করেছে।’

বিসিবির সঙ্গে ওয়ালশের চুক্তি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তিন বছরের এই চুক্তিতে তিনি বাংলাদেশের পেস বোলারদের নিয়ে কাজ করবেন।

ওয়ালশের আগে বাংলাদেশ কোচ হিসেবে পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজকে। তাঁর তত্ত্বাবধানেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পেয়েছিল প্রথম সাফল্য। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জিতে অংশ নিয়েছিল ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে।

১৯৮৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ১৩২টি টেস্ট খেলে ওয়ালশ নিয়েছিলেন ৫১৯ উইকেট। সে সময় এটিই ছিল টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড।