শুরুর মতো শেষটাও কেরবারের
বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন অ্যাঞ্জেলিক কেরবার। শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনেও তাঁর শিরোপার উচ্ছ্বাস। মেয়েদের এককের ফাইনালে কেরবার হারিয়ে দিয়েছেন ক্যারোলিনা প্লিসকোভাকে। ম্যাচের ফল ৬-৩, ৪-৬, ৬-৪।
একে তো ইউএস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন, তার ওপরে সেরেনা উইলিয়ামসকে হটিয়ে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠা—কেরবারের মনে এখন দ্বিগুণ আনন্দ। এক বছরে দুটো গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতে উচ্ছ্বসিত জার্মানির নতুন টেনিস তারকা, ‘এ বছর চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই ট্রফি হাতে নিতে পারছি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এক বছরে দুটো গ্র্যান্ড স্লাম জয় এক কথায় অবিশ্বাস্য। এটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা বছর। পাঁচ বছর আগে নিউইয়র্কে (ইউএস ওপেনের) সেমিফাইনালে উঠেছিলাম। এখন আমার হাতে ট্রফি। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
গত বছর শেষ করেছিলেন র্যাংকিংয়ে ১০ নম্বরে থেকে। আর এখন তিনি শীর্ষাসনে। ব্যাপারটা যেন বিশ্বাস হতে চাইছে না কেরবারের, ‘ছোটবেলা থেকেই গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের পাশাপাশি টেনিসের এক নম্বর হওয়া আমার স্বপ্ন ছিল। এটা আমার কাছে বিশাল কিছু।’
কেরবারের মতো ‘বিশাল কিছু’ করতে না পারলেও প্লিসকোভার কৃতিত্ব কম নয়। ফাইনালে ওঠার পথে চতুর্থ রাউন্ডে ভেনাস আর সেমিফাইনালে সেরেনাকে হারিয়েছিলেন তিনি। একই গ্র্যান্ড স্লামে উইলিয়ামস বোনদের হারানো মাত্র চতুর্থ খেলোয়াড় প্লিসকোভার আরেকটি ‘কীর্তি’র কথাও বলতে হবে। এবারের ইউএস ওপেনে একমাত্র তিনিই একটি সেট জিততে পেরেছেন কেরবারের বিপক্ষে। আগে কখনো কোনো গ্র্যান্ড স্লামের তৃতীয় রাউন্ডের গণ্ডি পেরোতে না পারা প্লিসকোভা ফাইনালে ভালোই লড়াই করেছেন। তাঁর জোরালো গ্রাউন্ড স্ট্রোকসগুলো এক সময় অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল কেরবারকে। কিন্তু ৪৭টি ‘আনফোর্সড এরর’-এর মাশুলও দিতে হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের তরুণীকে। অবশ্য প্রতিপক্ষকে প্রাপ্য সম্মান দিতেও কার্পণ্য করেননি প্লিসকোভা, ‘অ্যাঞ্জি (কেরবার) প্রমাণ করেছে যে সে-ই এক নম্বর। তার বিপক্ষে খেলতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।’