তামিমের অষ্টম টেস্ট শতক

গত বছর এপ্রিলে সর্বশেষ টেস্ট শতক পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলেছিলেন ২০৬ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস। এর পর দীর্ঘ বিরতি। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ খেলেছিল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ। কিন্তু টেস্ট শতকের দেখা পাচ্ছিলেন না এই বাঁহাতি ওপেনার।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ১৮ মাস পর আরেকটি শতকের দেখা পেলেন তামিম। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট শতক।
২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডারবানে অভিষেক হওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান প্রথম শতক পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৯ সালের জুলাইতে। কিংস্টনে ১২৮ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি।
এক বছর পর ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট শতক পান তামিম। সেবার ১৫১ রানের দারুণ ইনিংসটি খেলে বেশ নজর কেড়েছিলেন। একই বছর মে-জুনে ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদেরই বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে দুটি শতক পেয়েছিলেন তিনি। লর্ডস ও ম্যানচেস্টারে ১০৩ ও ১০৭ রানের দুটি শতরানের ইনিংস খেলেন।
এর পর ২০১৪ সালে খুলনা ও চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি শতক এবং গত বছর খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি দ্বিশতক পান এই বাংলাদেশি ওপেনার।
মজার বিষয়, এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই তামিমের সবচেয়ে বেশি শতক। এটি তাঁর তৃতীয় শতক সফরকারী দলটির বিপক্ষে। শুধু তাই নয়, এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছয়টি অর্ধশতক করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
এ সিরিজে চট্টগ্রামেও ইংলিশদের বিপক্ষে দারুণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর দুর্ভাগ্য, ৭৮ রান করেই সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি। তা না হলে হয়তো আরো একটি শতকের দেখা পেতেন তিনি।
টেস্ট শতক করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে সবার ওপরে আছেন তামিম। তিনি আটটি শতকের মালিক। দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। তাঁর শতক ছয়টি।