সাফে লেবাননের কাছে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের
তারিক কাজীর একটা ভুল। সেখান থেকে বল করিম দারবিশের পায়ে। পাশে হাসান মাতুক। দুজনের মাঝে বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো একা। দারবিশের পাস থেকে হাসান লক্ষ্যভেদ করলেন। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় লেবানন। এরপরই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে লেবাননের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হেরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করল বাংলাদেশ।
৮০ মিনিটে গোল খাওয়ার আগ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের পুরো দখল ছিল বাংলাদেশের। প্রথমার্ধের এলোমেলো বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমতো ঝলমলে। তবে, প্রথমার্ধে এলোমেলো হলেও জাল অক্ষত রেখেছিল বাংলাদেশ।
বিরতির পর মাঠে নেমে শুরু থেকেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেয় হাভিয়ের কাবরেরার দল। জামাল ভূঁইয়ার বদলি হিসেবে নামানো হয় মোহাম্মদ হৃদয়কে। হৃদয়-সোহেল রানারা মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেন পুরো-পুরিভাবে।
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে প্রথম সুযোগটা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে লম্বা পাস বাড়ান সোহেল রানা। ওয়ার অন ওয়ানে সামনে কেবল লেবানন গোলরক্ষক আলি সাবেহ। কিন্তু সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন ফাহিম। বল মারলেন গোলরক্ষকের পায়ে।
৬৭ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পান ফাহিম। কিন্তু সেখান থেকেও গোল করতে ব্যর্থ তিনি। তবু, ম্যাচে টিকে ছিল বাংলাদেশ। লেবাননকে চাপে ফেলে বল নিজেদের দখলে রেখে চেষ্টা করেছে গোল পাওয়ার। কিন্তু, মাঝমাঠ থেকে কয়েকটি সুযোগ বানিয়ে দিলেও ফিনিশারের অভাবে লেবানিজদের গোলমুখ ভাঙতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ দল।
৮০ মিনিটের ওই গোলের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর বেড়ে যায় লেবাননের খেলার গতি। আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও বাংলাদেশের রক্ষণের দৃঢ়তায় সেটি হয়নি। তবে, যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় লেবানন। খলিল বাদারের পা থেকে আসে সেটি।
হার দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ ও ভূটান।