অ্যাশেজ
ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে বিদায় রাঙালেন ব্রড
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের চাই দুই উইকেট, অস্ট্রেলিয়ার ৫৫ রান। এমন সমীকরণকে কী করে দলকে জেতাতে হয়, তাই করে দেখালেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। দলকে শুধু জেতাননি এই পেসার, নিজের ক্যারিয়ারের শেষটাও রাঙিয়েছেন রাজকীয়ভাবে। ব্রডের এমন স্মরণীয় ম্যাচে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড সমতায় শেষ করল মর্যাদার অ্যাশেজ।
গতকাল সোমবার (৩১ জুলাই) ৩৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রড-মঈন আলীদের বোলিং তোপে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা। ৪৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ড্রয়ে শেষ করেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে জয় হাতছাড়া হওয়ায় ইংলিশদের বিসর্জন দিতে হয় অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন। সমতায় ফিরে সিরিজ বাঁচাতে বেন স্টোকসদের দরকার ছিল ওভালে শেষ টেস্টে জয়। এই টেস্টে তারা হারলেই ২২ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জিতত অস্ট্রেলিয়া।
বিনা উইকেটে ১৩৫ রানে পঞ্চম ও শেষ দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে অজিদের এমন প্রতিরোধে একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল, হয়তো অস্ট্রেলিয়াই জিততে যাচ্ছে শেষ টেস্ট। তবে, দিনের শুরুতেই দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৬০ রানে ও উসমান খাজাকে ৭২ রানে ফিরিয়ে অজিদের বড়সড় ধাক্কা দেয় ক্রিস ওকস।
উইকেট হারানোর চাপ সামাল দেওয়ার আগেই ফের আরও দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা। মার্নাস লাবুশেনকে ১৩ রানের বেশি করতে দেননি উড। এরপর অবশ্য স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের ব্যাটে ম্যাচে ফেরে অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ২৬৪ রানের মাথায় হেড ও ২৭৪ রানের মাথায় স্মিথকে ফিরিয়ে ম্যাচে নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। তখনও মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়াই জিততে পারে এই টেস্ট। তবে, মঈন আলী-ব্রডদের বোলিং তোপে ৩৩৪ রানে থামতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৮৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংলিশরা। জবাবে ২৯৫ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া। ১২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ডাকেট-রুটদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৯৫ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে কঠিন লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ইংলিশরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ২৮৩ (ব্রুক ৮৫; স্টার্ক ৪/৮২),
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৯৫ (রুট ৯১, বেয়ারস্টো ৭৮, ক্রলি ৭৩; স্টার্ক ৪/১০০, মারফি ৪/১১০)
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ২৯৫ (স্মিথ ৭১; ওকস ৩/৬১),
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৩৪, লক্ষ্য ৩৮৪ ( খাজা ৭২, ওয়ার্নার ৬০; ওকস ৪/৫০, মঈন ৩/৭৬)
ফল: ইংল্যান্ড ৪৯ রানে জয়ী
সিরিজ: ২-২ ড্র
ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরা: ক্রিস ওকস