জোড়া সেঞ্চুরিতে নেপালকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিল পাকিস্তান

প্রথম পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানকে বেশ চেপেই ধরেছিল নেপাল। স্কোরবোর্ডে ২৫ রান তুলতে নেই দুই উইকেট। ধীরগতির শুরুর পর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম ও ইফতেখার আহমেদের জোড়া সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত নেপালকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল পাকিস্তান।
আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) থেকে পাকিস্তান-নেপাল ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ। মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৩৪২ রান।
মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুটা মন্থর হয় টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক পাকিস্তানের। দলীয় ২১ রানে করন কেসির বলে আসিফ শেখের হাতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ওপেনার ফখর জামান (১৪)। খানিক বাদেই রানআউটে কাটা পড়েন অপর ওপেনার ইমাম-উল-হক (৫)। ২৫ রানে দুই উইকেট হারানো পাকিস্তানের ইনিংস মেরামতে দায়িত্ব নেন বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুই জনের ৮৬ রানের জুটিতে পাকিস্তান ম্যাচে ফিরতে শুরু করে।
দলীয় ১১১ রানে ৫০ বলে ৪৪ রান করে রানআউট হন রিজওয়ানও। সন্দ্বীপ লামিচানে আঘা সালমানকে (৫) ফেরালে ১২৪ রানে চার উইকেটে পরিণত হয় পাকিস্তান। ম্যাচের তখন ২৮তম ওভার। আবারও খানিক ব্যাকফুটে চলে যায় তারা।
সেখান থেকে বাবর ও ইফতেখার মিলে একটু একটু করে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ক্রিজে থিতু হওয়ার পর হাত খুলে খেলতে থাকেন দুজনই। একটা সময় আড়াইশ রান যেখানে কঠিন মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের জন্য সেখানে তারা থামে ৩৪২ রানে। বাবর-ইফতেখারের ব্যাট থেকে আসে ২১৪ রানের অনবদ্য জুটি।
ওয়ানডেতে নিজের ১৯তম সেঞ্চুরি করার দিনে বাবর ছাড়িয়ে যান নিজেকেই। ১৯ সেঞ্চুরির মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলেন বাবর। ১৩১ বলে ১৪ চার ও চারটি ছক্কায় ১৫১ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন বাবর। শেষ ওভারে সম্পাল কামির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একই ওভারে শাদাব খানকে (৪) বোল্ড করেন সম্পাল।
ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান ইফতেখারের এটি ওয়ানডেতে প্রথম শতক। ক্রিজে রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি। ৭১ বলে ১১ চার ও চারটি ছক্কায় ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নেপালের পক্ষে সম্পাল পান দুই উইকেট। করন ও লামিচানে নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৩৪২/৬। (ফখর ১৪, ইমাম ৫, বাবর ১৫১, রিজওয়ান ৪৪, সালমান ৫, ইফতেখার ১০৯* শাদাব ৪; সম্পাল ১০-১-৮৫-২, করন ৯-০-৫৪-১, গুলশান ৪-০-৩৫-০, ললিত ১০-০-৪৮-০, লামিচানে ১০-০-৬৯-১, দীপেন্দ্র ৬-০-৪০-০, কুশাল ১-০-১০-০)