শোধির স্পিন বিষে নীল বাংলাদেশ
কোয়ালিটি স্পিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটাদের বেশিরভাগ সময়ই ভুগতে দেখা যায়। আরও একবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ শোধির ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে রীতিমত ধরাশায়ী স্বাগতিক ব্যাটাররা। এক মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবাল ছাড়া আর কেউই পারেনি নামের প্রতি সুবিচার করতে। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৬ রানে হেরে সিরিজ হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ।
আশা জাগিয়ে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহও
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৫৫ রান তাড়া করতে নেমে লিটন-সৌম্যদের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অনেকদিন পর দলে সুযোগ পেয়েই দিয়েছেন নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ। দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারালেও তার ব্যাটে চাপ সামাল দেয় বাংলাদেশ। তবে এক রানের আক্ষেপ থেকে গেছে রিয়াদের। ৭৬ বলে ৪৯ করে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। তার বিদায়ে চাপ বেড়েছে বাংলাদেশের। ১৫০ রানের আগেই হারিয়েছে সাত উইকেট।
মেহেদির বিদায়ে ভাঙল প্রতিরোধ
লক্ষ্যটা ২৫৫। মিরপুরের উইকেটে যে রান তাড়া করা বেশ চ্যালেঞ্জিং বটে। ঘরের মাঠে খেলা হলেও ফের একবার মিরপুরে উইকেটে ধুঁকছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে হারিয়ে বসেছে ছয় ব্যাটারকে। মাঝে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে শেখ মেহেদি আশা দেখালেও তা বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি। দলীয় ১৩৪ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ব্যাটিং করছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে সহায়তা করার চেষ্টায় লেজের সারির ব্যাটাররা।
মাহমুদউল্লাহ-মেহেদির ব্যাটে ঘুঁরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ
দলীয় ৯২ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল বাংলাদেশ। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদির ব্যাটে বেশ ভালোই দিচ্ছে স্বাগতিকরা। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও শেখ মেহেদি চাপ সামলে খেলার চেষ্টা করছেন। এই জুটি কতদূর যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তামিমের বিদায়ে বিপদ আরও বাড়ল বাংলাদেশের
এমনিতেই দলে নেই নিয়মিত ক্রিকেটারদের অনেকেই। এর ওপর যারা সুযোগ পেয়েছেন তাদের মধ্যে এক তামিম ইকবাল ছাড়া আর কেউই পারেননি আস্থার প্রতিদান দিতে। তবে আশা জাগিয়েও এই ওপেনারের বিদায়ে ফের চাপে বাংলাদেশ। ৫৮ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তামিমের বিদায়ে ১০০ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন দীর্ঘদিন পর সুযোগ পাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দ্রুত টপঅর্ডারদের হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
মিরপুরের মাঠে ২৫৫ রান মোটেও সহজ লক্ষ্য নয়। তা বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে ৭০ রানে হারিয়ে বসেছে টপঅর্ডারের চার ব্যাটারকে। সবমিলিয়ে বেশ চাপে স্বাগতিকরা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
সাবধানী শুরুর পর সাজঘরে লিটন
লক্ষ্যটা খুব বেশি কঠিন নয়। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৫৫ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে সাবধানী শুরু এনে দিয়েছিলেন চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হওয়ার সম্ভাবনা জাগলেও রিভিউ নিয়ে মাঝে একবার বেঁচে যান লিটন। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি এই ব্যাটার। কাইল জেমিসনের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড অঞ্চলে রাচীনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ৬ রান।
মানকার্ডিং নাটকের পর ২৫৪ রানে থামল নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার ইশ শোধিকে মানকার্ডিংয়ের ফাঁদে ফেললেন হাসান মাহমুদ। আউট হয়ে সাজঘরের দিকেই ফিরছিলেন শোধি। কিন্তু অধিনায়ক লিটন ফিরতে দিলেন না। নিজেদের আবেদন তুলে নিয়ে শোধিকে আবারও উইকেটে ফিরিয়ে আনলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। হাসতে হাসতে ফের উইকেটে ফেরার আগে তরুণ হাসান মাহমুদকে বুকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করলেন কিউই তারকা। এরপর অবশ্য খালেদের বলে ৩৫ রানে ফেরেন তিনি। শোধি ফেরার পর শেষ পর্যন্ত ২৫৪ রানে থামল সফরকারীরা।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লড়ছে বাংলাদেশ
হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেলের জুটি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের কোনো জুটিকেই জমতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে যাওয়া ওই জুটি ভাঙার পর কিউইদের পঞ্চম জুটি ভেঙেছেন শেখ মেহেদি হাসান। তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন রাচিন রবিন্দ্রকে। এরপর উইকেটে লম্বা সময় ভোগানো ব্লান্ডেলকে বিদায় করেন হাসান মাহমুদ। ৬৮ রান করা ব্লান্ডেলের স্টাম্প উড়িয়ে দেন হাসান। নিউজিল্যান্ডের রান দেড়শ ছাড়ালেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লড়াইয়ে আছে লিটন দাসের দল।
শক্ত জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরালেন অভিষিক্ত খালেদ
হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল মিলে লম্বা সময় ধরে ভোগাচ্ছিলেন বাংলাদেশ। জমে যাওয়া এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তিতে ফেরালেন খালেদ আহমেদ। হাফসেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থাকা নিকোলসকে সাজঘরে পাঠিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন অভিষিক্ত বোলার।
ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড
পেসার দাপটে ইনিংসের প্রথম ঘণ্টা নিজেদের রঙে রাঙিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশি পেসার সামলে নিয়ে চতুর্থ জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল মিলে এগিয়ে নিচ্ছে সফরকারীদের। দুই ব্যাটার পরীক্ষা নিচ্ছেন বাংলাদেশি বোলারদের। এই জুটিতে চড়ে দলীয় শতরান ছাড়িয়েছে কিউইরা।
মুস্তাফিজ-খালেদে দাপুটে বাংলাদেশ
ইনিংসের শুরুটা স্বপ্নের মতো এনে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। মাত্র ২৬ রানে তুলে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্যালান ও উইল ইয়ংয়ের উইকেট। তৃতীয় আঘাতটি এনেছেন খালেদ আহমেদ। বাংলাদেশের জার্সিতে আজকেই অভিষেক ক্যাপ পরা খালেদ নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়েছেন চ্যাড বোসকে। দুই পেসারের বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দারুণ।
মুস্তাফিজের বোলিংয়ে বাংলাদেশের দারুণ শুরু
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটিকে স্থায়ী হতে দিলেন না মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই কিউই ওপেনার উইল ইয়ংয়ের উইকেট তুলে নিয়েছেন কাটার মাস্টার। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড, ইয়ং করেন শূন্য।
একাদশে হাসান মাহমুদ, বাদ সোহান
আজকের ম্যাচে একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। নুরুল হাসান সোহান ও তানজিম হাসান সাকিবের বদলে একাদশে এসেছেন হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। আজকের ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হচ্ছে ৩১ বছর বয়সী মিডিয়াম পেসার খালেদের।
ভেজা পিচে বোলিংয়ের পূর্ণ সুবিধা নিতে একাদশে আনা হয়েছে দুজন পেসার। আগের ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন দারুণ ছন্দে। পাশাপাশি স্পিনার নাসুম আহমেদও বেশ ভালো বোলিং করেছেন। পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার তিন উইকেট, নাসুম আহমেদ পান দুই উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ।
টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
বালাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। দুই দফা মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পর খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। আজও আকাশে মেঘের আনাগোনা। বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় রেখেই আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড : ৪৯.২ ওভারে ২৫৪ (অ্যালেন ১২, ইয়ং ০, চ্যাড ১৪, নিকলস ৪৯, ব্লান্ডেল ৬৮, রাচীন ১০, কোলে ২০, সোদি ৩৫, জেমিসন ২০, ফারগুসন ১৩, বোল্ট ১ ; মোস্তাফিজ ১০-১-৫৩-২, হাসান ১০-১-৪৬-১, খালেদ ৯.২-১-৬০-৩, মেহেদী ১০-০-৪৫-৩, নাসুম ১০-০-৪৪-১)।