ম্যাচ জিতে রাজস্থানের হারের অপেক্ষায় হায়দরাবাদ
সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ২০০ এর বেশি লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারেনি পাঞ্জাব কিংস। চলতি আইপিএলে অবশ্য হায়দরাবাদ রানমেশিন হয়ে গেছে। সেই হিসেবে আজ রোববার (১৯ মে) পাঞ্জাব কিংসের দেওয়া ২১৫ রানের লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না। এমন অবস্থায় গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠ রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে পাঞ্জাবকে চার উইকেটে হারিয়েছে হায়দরাবাদ।
টস জিতে আগে ব্যাট করা পাঞ্জাব ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২১৪ রান করে। জবাবে ১৯. ১ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় হায়দরাবাদ।
রান তাড়ায় প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ট্রাভিস হেড। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। তবে, অভিষেক শর্মার ২৮ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে শুরুর বিপদকে রীতিমতো উড়িয়ে দেয় দলটি। অভিষেক আউট হলে রাহুল ত্রিপাঠি খেলেন ১৮ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। হায়দরাবাদের শুরুটা পড়ন্ত হলেও এরপর কেবলই দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলা।
নিতিশ কুমার সাজঘরে ফেরার আগে করেন ২৫ বলে ৩৭ রান। পরের গল্পটা হেনরিখে ক্লাসেনের। পুরো আসর মাতানো এই তারকা গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচেও সমান সাবলীল। তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস। তিনি দলের জয় থেকে সাত রান দূরে আউট হলেও, বাধা হতে পারেনি হায়দরাবাদের জয়োল্লাসে।
এর আগে ওপেনিং জুটিতে আথার্ভা ও প্রভসিমরান সিং মিলে তোলেন ৯৭ রান। দুর্দান্ত ওপেনিংয়ে পাঞ্জাব পায় বড় সংগ্রহের ভিত। আথার্ভা ২৭ বলে ৪৬ করে আউট হলেও সিমরানের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৭১ রান। ওয়ানডাউনে নামা রাইলি রসু ২৪ বলে ৪৯ রান করে আরও এগিয়ে নেন পাঞ্জাবকে।
মাঝে শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মা দুই রান করে ফিরে যান। শেষ দিকে অধিনায়ক জিতেশ শর্মার ব্যাটে চড়ে বড় সংগ্রহ গড়ে পাঞ্জাব। ১৫ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন জিতেশ।
হায়দরাবাদের পক্ষে নটরাজ দুটি এবং প্যাট কামিন্স ও বিজয়কান্ত একটি করে উইকেট পান।
এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে হায়দরাবাদ। তিনে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। রাতের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জিতলে রাজস্থানের পয়েন্ট হবে ১৮, তারা উঠবে দুইয়ে। আর ম্যাচ হারলে হায়দরাবাদ নিজেদের অবস্থানেই থাকবে, নিশ্চিত হবে কোয়ালিফায়ারে খেলা।