না খেলেই আইপিএল থেকে কোটি টাকা আয় যেসব ক্রিকেটারের
আইপিএল মানেই টাকার ঝনঝনানি। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই লিগে খেলে কাড়ি কাড়ি টাকা আয় করেন ক্রিকেটাররা। আইপিএলের এক আসর খেলতে পারলেই এক লাফে কোটিপতি হয়ে যান অনেক ক্রিকেটার। এমন অনেক ক্রিকেটার আছেন, যারা কোনো ম্যাচ না খেলেই আয় করেছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
১. ক্রিস ওকস (পাঞ্জাব কিংস)
৩৫ বছর বয়সী ইংলিশ তারকা পেসার ক্রিস ওকসকে নিলামে ৪ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। তখনই মনে হয়েছিল, হয়তো সব ম্যাচে খেলানো হবে দেখেই মোটা অঙ্কে এই পেসারকে নিয়েছে পাঞ্জাব। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা দেখা যায়নি। পুরো আসরেই বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে ২০১৭ সালে আইপিএলে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটারকে।
২. সুশান্ত মিসরা (গুজরাট টাইটান্স)
গত আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী মোহাম্মদ শামি চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ার, তার বিকল্প হিসেবেই দলে নেওয়া হয় সুশান্ত মিসরাকে। তবে, কম্বিনেশনের মারপ্যাচে একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি তিনি। পুরো আসরে ডাগআউটে বসেই আয় করেছেন ২ কোটি ২০ লাখ রুপি।
৩. জয়ন্ত যাদব (গুজরাট টাইটান্স)
দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ২০১৫ সালের আইপিএলে অভিষেক হয় জয়ন্তের। এরপর মাঝে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে হয়ে খেললেও থিতু হতে পারেননি। ২০২২ এর মেগা নিলামে তাকে ১ কোটি ৭০ লাখ রুপিতে দলে নেয় গুজরাট টাইটান্স। সেবার মাত্র ১টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পান তিনি। এরপর চলতি আসরের জন্যও তাকে একই মূল্যে রিটেইন করে দলটি। তবে, এবার কোনো ম্যাচেই খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
৪. রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার (চেন্নাই)
২১ বছর বয়সী এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে ২০২৩ সালের নিলামে দেড় কোটি রুপি খরচ করে দলে নেয় চেন্নাই। সেই বছর দুই ম্যাচ খেলে ৬০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন এই ক্রিকেটার। এরপর চলতি বছর একই মূল্যে তাকে রিটেইন করে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে, এই মৌসুমে কোনো ম্যাচেই খেলার সুযোগ পাননি তিনি। পুরো আসর ডাগআউটে বসেই কামিয়েছেন দেড় কোটি রুপি।
৫. প্রশান্ত সোলাঙ্কি (চেন্নাই সুপার কিংস)
ভারতীয় এই লেগ স্পিনারকে ২০২২ সালের নিলামে ১ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নেয় চেন্নাই। সেই বছরই সিএসকের জার্সিতে অভিষেক হয় এই ২৪ বছর বয়সী ক্রিকেটারের। দুই ম্যাচে ৩৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তিনি। এরপর ২০২৩ ও ২০২৪ আসরেও তাকে একই দামে রিটেইন করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যদিও কোনো ম্যাচেই খেলার সুযোগ পাননি তিনি।