টিকে থাকার ম্যাচে রাজস্থানকে মাঝারি লক্ষ্য দিল বেঙ্গালুরু
টানা ছয় জয়! প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার আগে এমনই ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অবস্থা। রীতিমতো উড়তে থাকা আত্মবিশ্বাসী এক দলের সামনে রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে আজ বুধবার (২২ মে) বেঙ্গালুরুকে অবশ্য পুরোপুরি চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। যার অনেকটাই কৃতিত্ব রাজস্থানের বোলারদের।
আহমেদবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দুদলের জন্যই ম্যাচটি বাঁচা-মরার। জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত নয়, তবে হারলে বিদায়। এমন দিনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আরসিবি ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে থামে ১৭২ রানে।
ওপেনিংটা যদিও খারাপ করেননি বিরাট কোহলি ও আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ৪.৪ ওভারে দুজন স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৩৭ রান। ১৪ বলে ১৭ করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে রভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডু প্লেসিস। যুজবেন্দ্র চাহালের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে কোহলির ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৩৩ রান।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ওয়ানডাউনে নামা ক্যামেরন গ্রিন করেন ২১ বলে ২৭। পাওয়েলের ক্যাচে পরিণত করে তাকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মাঝারি গতিতে ছুটতে চলা আরসিবিকে একটু করেন রজত পাতিদার। আভেশ খানের বলে রিয়ান পরাগের তালুবন্দি হওয়ার আগে চেষ্টা করেছেন ইনিংস বড় করার। রজতকে থামতে হয় ২২ বলে ৩৪ রানে। বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে চোখ ছিল সবার।
দলকে বিপদে ফেলে শূন্য হাতে ফেরেন ম্যাড ম্যাক্স। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই তার উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। দিনেশ কার্তিক ও মহিপাল লমরোর চেষ্টা করেছেন বড় সংগ্রহের দিকে দলকে নিয়ে যেতে। তবে, ১৩ বলে ১১ রান করে আভেশের শিকার হন কার্তিক। বাকি সময়টুকু লমরোর একাই লড়ে যান। তার ব্যাট থেকে আসে দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৭ বলে ৩২ রান।
রাজস্থানের পক্ষে আভেশ তিনটি এবং অশ্বিন নেন দুই উইকেট।