মাদ্রিদ না ডর্টমুন্ড—কার ঘরে যাচ্ছে ইউরোপসেরার মুকুট?
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সাজ সাজ রব। ১০ বছর পর আবারও ফাইনাল ফিরেছে ওয়েম্বলিতে। সেবার ফাইনালে খেলা দুদলের একটি বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। স্বদেশি (জার্মান) ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ডর্টমুন্ডের। এবার ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ দলটির সামনে। ওয়েম্বলিতে আজ শনিবার (১ জুন) দিনগত রাত ১টায় মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (ইউসিএল) আর রিয়াল মাদ্রিদ একে অপরের সমার্থকই বলা চলে। রেকর্ড ১৪বার শিরোপা জিতেছে দলটি। সেরাদের সেরা মাদ্রিদের লড়াইটা নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার। প্রতিপক্ষ ডর্টমুন্ডের লক্ষ্য অবশ্য মাদ্রিদকে হারানো। ২০১৩ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে দলটি। এই সময়ের মধ্যে মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে পাঁচবার। তাই, এই মঞ্চে অপ্রতিরোধ্য মাদ্রিদকে আটকানো সহজ কথা নয়।
ম্যাচটি যেহেতু ফাইনাল, লড়াই যেহেতু এক ম্যাচের, সেহেতু হতে পারে যে কোনো কিছু। ডাগআউটে মাদ্রিদের মাস্টারমেকার কার্লো আনচেলত্তির ক্ষুরধার মস্তিস্কের সামনে ডর্টমুন্ড কোচ এডিন টার্জিক পিছিয়েই থাকবেন। কিন্তু ওই যে, এক ম্যাচ! ৯০ মিনিট দম ধরে রাখলে সব সম্ভব। ইউসিএল ফাইনালে আনচেলত্তি জানেন কখন কী করতে হয়, এখানে টার্জিক আনাড়ি।
আনাড়ি হলেও কোচের আছে বড় বড় অস্ত্র। মার্কো রয়েস, ম্যাট হামেলস, নুরি শাহিনরা। ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী হলুদ শিবির। ডর্টমুন্ড কোচ টার্জিক বলেন, ‘আমরা জানি রিয়াল মাদ্রিদ এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল। তারা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। কিন্তু, সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়তে আমরা তৈরি। এটি এক ম্যাচের ব্যাপার। আপনি যদি প্রতিপক্ষের কৌশল ভেঙে দিতে পারেন, যে কোনো কিছু সম্ভব।’
মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তি জানেন, ডর্টমুন্ডের শক্তি সম্পর্কে। এবারের ইউসিএলে সবচেয়ে কম গোল হজম করেছে দলটি। লা রোজাদের আক্রমণভাগে থাকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, জুড বেলিংহামরা ভাঙতে পারেন মজবুত দেয়ালও। তাদের পেছন থেকে শান দিতে আছেন টনি ক্রুস, লুকা মদরিচরা।
ম্যাচ প্রসঙ্গে আনচেলত্তি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল যতটা উপভোগ্য, ততটাই ভয়ানক। আমরা এই মঞ্চটা উপভোগ করি। কিন্তু জানি, একটু পা পিছলে পড়লেই শেষ। প্রতিপক্ষ আপনাকে চেপে ধরবে। আপনাকে নির্ভয় থাকতে হবে। এখানে জিততে হলে পরিশ্রমের সঙ্গে ভাগ্যেরও প্রয়োজন আছে।’
মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ভাগ্য বরাবরই ভালো। ভাগ্য অবশ্য পরিশ্রমীদের পাশেই থাকে। যেদিক দিয়ে, ডর্টমুন্ডও পিছিয়ে নেই। এক দশক পর ফাইনালে এসেছে দুর্দান্ত খেলেই। যারা স্বপ্ন দেখছে শেষাংশে মাদ্রিদকে চমকে দেওয়ার।