কামিন্সের হ্যাটট্রিকের দিনে বাংলাদেশের মাঝারি পুঁজি
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ টপ অর্ডার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই টপ অর্ডারে রানের দেখা পেল বাংলাদেশ। কিন্তু, টপ অর্ডারে কিছুটা স্বস্তি মিলতেই মিডল অর্ডারে ধস। ফিনিশিংয়েও মেটেনি প্রত্যাশা। বরং চলতি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশকে মাঝারি রানে আটকে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স। তার বোলিংয়ের দিনে সুপার এইটের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৪১ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৪০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪১ রান এসেছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে।
আজ শুক্রবার ভোরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই হারায় উইকেট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের গতিতে মুখ থুবড়ে পড়েন তানজিদ তামিম। অসি পেসারের ডেলিভারি তানজিদের ব্যাটের নিচের অংশে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। বোল্ড হয়ে শূন্যতে ফেরেন তানজিদ।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সেই ধাক্কা সামলে নেয় বাংলাদেশ। দীর্ঘ দিনের রানের খরা কাটিয়ে আজ বাংলাদেশের ঢাল হন নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটনের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি বাংলাদেশের আশা দেখান অধিনায়ক।
তবে জমে যাওয়া এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশের রানের গতি কমিয়ে দেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। নবম ওভারে বল হাতে এসে লিটনকে নিজের প্রথম শিকার বানান জ্যাম্পা। অসি স্পিনারের বলে সুইপ করার চেষ্টায় বোল্ড হন লিটন। দুই চারে ২৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন বাংলাদেশের ওপেনার।
এরপর নামিয়ে দেওয়া হয় রিশাদকে। কিন্তু উইকেটে এসে তিনি টেকেন মোটে ৪ বল। দুই রান যোগ করতে পারা রিশাদকে ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
জোড়া উইকেট হারানোর মাঝে টিকে যাওয়া শান্ত এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। ১৩তম ওভারে অধিনায়কের প্রতিরোধ ভেঙে অসিদের স্বস্তি ফেরান জাম্পা। তার স্টাম্প লাইনের ডেলিভারি সুইপ খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন শান্ত। বক প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন তোলে অস্ট্রেলিয়া,তাতে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ফলে ৪১ রান করে ভাঙে শান্তর প্রতিরোধ। মাঝে উইকেটে এসে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান।
তবে উইকেটে এসে বাংলাদেশের রানের গতি বাড়াতে দারুণ ভূমিকা রাখেন তাওহিদ। আজও শেষ দিকে বাংলাদেশের রানের গতি বাড়ান তিনি। তাতে সফলও হয়েছেন। ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে বাংলাদেশকে মাঝারি পুঁজি এনে দেন তরুণ এই ব্যাটার।
তবে এই রানটা আরও বাড়ত যদি না হ্যাটট্রিক করে বাধা হয়ে দাঁড়াতেন প্যাট কামিন্স। একে একে মাহমুদউল্লাহ, তাওহিদ ও শেখ মেহেদিকে ফিরিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন অসি পেসার। ২৯ রান দিয়ে সেরা বোলারও আজ তিনি। এ ছাড়া ২৪ রান দিয়ে দুটি শিকার নেন অ্যাডাম জ্যাম্পা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪০/৮ (তানজিদ ০, লিটন ১৬, শান্ত ৪১, রিশাদ ২, হৃদয় ৪০, সাকিব ৮, মাহমুদউল্লাহ ২, মেহেদি ০, তাসকিন ১৩*, তানজিম ৪*; স্টার্ক ৪-০-২১-১, হেইজেলউড ৪-১-২৫-০, কামিন্স ৪-০-২৯-৩, জ্যাম্পা ৪-০-২৪-২, স্টয়নিস ২-০-২৪-১, ম্যাক্সওয়েল ২-০-১৪-১)