বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় চাপে বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা বিশাল। জিততে হলে বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হবে ১৯৬ রান। অ্যান্টিগায় এই বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় সতর্ক শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম মিলে শুরু করেন দেখেশুনে। এর মধ্যে বুমরাহ-আর্শদিপদের ওপর চড়াও হন তামিম। রান তোলার চেষ্টায় লড়ছিলেন লিটন দাসও। কিন্তু লিটন পারলেন না থিতু হতে। আজও থমকে গেলেন অল্পতেই। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ হন লিটন। ১০ বলে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার।
এরপর উইকেটে থিতু হওয়া তানজিদ তামিমকেও হারায় বাংলাদেশ। কুলদিপ যাদবের বলে তিনি বিদায় নেন ২৯ রানে। তার বিদায়ের পর কুলদিপের এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তাওহিদও। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
এর আগে বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৯৬ রান তুলেছে ভারত।
অ্যান্টিগায় টস জিতে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে বরং ভালোই হয় ভারতের। ওপেনিংয়ের রানের খরা কিছুটা হলেও মেটায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি মিলে শুরুর জুটিতেই তোলেন ৩৯ রান।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসান এসে ভাঙেন এই জুটি। যদিও নিজের প্রথম ওভারে খরুচে বোলিং করেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে এসেও তিন বলে দিয়ে ফেলেন ১০ রান। অবশেষে চতুর্থ বলে জাকেরের হাতে রোহিতকে ক্যাচ বানান সাকিব। এক ছক্কা ও তিন চারে ১১ বলে ২৩ রান করে থামেন ভারতীয় অধিনায়ক। অন্যদিকে উইকেটটি নিয়ে প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন সাকিব।
আরেক ওপেনার বিরাট কোহলিও চড়াও হন পাওয়ার প্লেতে। জমে ওঠা এই ব্যাটারের প্রতিরোধ ভাঙেন তানজিম সাকিব। এক ওভারে এসেই জোড়া উইকেট তুলে নেন তিনি। তানজিমের স্লোয়ার ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে মারার চেষ্টায় বোল্ড হন কোহলি। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৭ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।
এরপর উইকেটে আসা সূর্যকুমার যাদব এক ছক্কায় শুরু করেন ইনিংস। পরের বলেই তাকে মাঠছাড়া করেন তানজিম।
ওয়ানডাউনে নামা পন্থের ঝড় থামান রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশি লেগ স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে তানজিমের হাতে ক্যাচ দেন পন্থ। ২৪ বলে ৩৬ রান করে থামে তার প্রতিরোধ।
ঝড়ো শুরু করা ভারতের মাঝপথে রানের গতি কিছুটা কমে। বোলিং দিয়ে বাংলাদেশও নাগালে রাখার চেষ্টা করে। তবে, সেই চেষ্টা বৃথা করে হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবাম দুবে মিলে ভারতকে এনে দেন শক্ত পুঁজি। ২৪ বলে ৩৪ রান করেন দুবে। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা পান্ডিয়া করেন ২৭ বলে অপরাজিত ৫০ রান।