নারী বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে দ্রুতই আসছে সিদ্ধান্ত
দিন যত গড়াচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে ততই পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আয়োজকের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে জিম্বাবুয়ের নাম। এ ছাড়া দৌড়ে আছে সংযুক্ত আমিরাত। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) স্থবির অবস্থায় অনেকটা হাত ফঁসকে যেতে বসেছে আসন্ন বিশ্বকাপ।
তবে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে এখনও আশা ছাড়ছেন নতুন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ করে দ্রুতই বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন উপদেষ্টা।
আজ রোববার (১৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক হবে, যেহেতু বাংলাদেশ একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। সেই সাথে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু বিবেচনায় এটা এখন আর শুধু স্পোর্টস মিনিস্ট্রিতে নেই। এটা এখন স্টেটের ব্যাপার হয়ে গেছে। তো প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিযুক্ত হয়েছেন। আমরা তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিব। আর আইসিসির সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ চলমান আছে। দ্রুতই আমরা এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত আপনাদের জানাব।’
দেশেন পরিবর্তিত অবস্থায় নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কয়েকটি দেশ। যার মধ্যে আছে অংশগ্রহণকারী দেশ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড আছে। তাছাড়া বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবির বেশিরভাগ পরিচালক আত্মগোপনে থাকার কারণে মোটামুটি স্থবির বিসিবির কার্যক্রম।
সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান নাকি পদত্যাগের ব্যাপারে রাজি। গঠনতন্ত্র মেনে পুরোনো কয়েকজনকে রেখে নতুন করে পর্যোলোচনা পর্ষদ সাজানোর পরিকল্পনাও চলছে। যদিও কবে নাগাদ তা বাস্তবায়ন হয় সেটা এখনও অনিশ্চিত। তাছাড়া নাজমুল হাসানের পদত্যাগের ব্যাপারে অফিশিয়াল কিছু জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
বিশ্বকাপের ক্ষণ ঘনিয়ে এসেছে। আয়োজক দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে আইসিসিরও। বিকল্প পথও খুঁজচ্ছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিসিবির শীর্ষ এক কর্তার সঙ্গে আলাপকালে জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের কোনো আশা দেখছেন না তিনি। বারবার এমন মানববন্ধন আদতে ক্রমেই বাংলাদেশকে আয়োজক হওয়া থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে সরে গেলে আপাতত স্বাগতিক হওয়ার সম্ভাব্য লড়াইয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিম্বাবুয়ে। দুই দেশের কোনোটিই এই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তারা টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহের কথা আইসিসিকে জানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি বাংলাদেশে বিশ্বকাপ না হয় তাহলে এই দুটি দেশের যে কোনোটিতেই হতে পারে বিশ্বকাপ। যদিও আয়োজকের দৌড়ে এগিয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।