আবার সময় এসেছে ক্লাব ফুটবলে বুঁদ হওয়ার
বছরের বেশিরভাগ সময় চলে ক্লাব ফুটবল। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় এই খেলায় ভক্তরা তর্কে মাতে নিজ দল নিয়ে। তবে, মৌসুম শেষের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ভক্তরা বুঁদ হয় জাতীয় দল নিয়ে। কখনও আর্জেন্টিনা, কখনও ব্রাজিল, কারও আবার প্রিয় দল ইতালি, জার্মানি। ক্লাব ফুটবল শেষে চলতি বছর আন্তর্জাতিক বিরতিতে চলেছে দুটি বড় টুর্নামেন্ট। একই সময়ে চলেছে উয়েফা ইউরো ও কোপা আমেরিকা। ইউরোপের পাওয়ার ফুটবল আর লাতিনের চিরায়ত সৌন্দর্য মাতিয়ে রেখেছিল ফুটবলপ্রেমীদের।
যারা ফুটবলের খোঁজ রাখেন, নিয়মিত দর্শক, তারা ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শুরুর অপেক্ষায় থাকেন। থাকবে না কেন? এক মঞ্চে তখন দেখা সবকিছু। ইউরোপ, লাতিন, আফ্রিকা, এশিয়া—সব জায়গার মাধুর্য মিলে যায় এক মোহনায়। দেখা মেলে জমাট রক্ষণ, কৌশলী মধ্যমাঠ, ক্ষুরধার আক্রমণ আর বুদ্ধিদীপ্ত ফিনিশিংয়ের। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা থেকে শুরু করে ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, পিএসজি, ইন্টার মিলান, নাপোলি, বায়ার্ন মিউনিখ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড—দলের অভাব নেই।
ইউরোপের শীর্ষ চার লিগ—লা লিগা, সিরি আ, প্রিমিয়ার লিগ, বুন্দেসলিগা তো আছেই। সঙ্গে আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। রাতজাগা যেন রুটিনে পরিণত হয় ভক্তদের। প্রিয় দল নিয়ে তর্ক, চায়ের কাপে আড্ডা আর প্রতিপক্ষের পরাজয়ে বন্ধুকে খোঁচানোর মতো অম্ল-মধুর লড়াই চলে মাঠের বাইরে।
ক্লাব ফুটবল এখানেই সার্থক। প্রায় ৯ মাস ধরে চলা মৌসুমে চলে সমীকরণের কাঁটাছেঁড়া, হারের বেদনা, বিজয়ের আনন্দ। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল দেশ, কাল, সীমানার গন্ডি ছাড়িয়ে মাতিয়ে রাখে সবাইকে। তাই তো ভক্তরা অপেক্ষায় থাকে নতুন মৌসুম শুরুর। পড়ে যায় জার্সি কেনার হিড়িক। সেই মৌসুম শুরু হয়েছে আবারও। শুরু হয়েছে ভক্তদের উন্মাদনা। পুরোনো আনন্দ নতুনভাবে।