বিসিবি সভাপতির পদ থেকে পাপনের পদত্যাগ
সরকার বদলের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগ অনুমিতই ছিল। অবশেষে এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বিসিবি প্রধান হিসেবে নাজমুল হাসান এখন অতীত। অবসান ঘটল দীর্ঘ ১২ বছরের সভাপতিত্বের। বিসিবি সভাপতির পদ থেকে আজ বুধবার (২১ আগস্ট) পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান।
আজ ভার্চুয়াল কনফারেন্সে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান। পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডে সমাপ্ত হলো নাজমুল হাসান পাপনের অধ্যায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ১৪তম সভাপতি হিসেবে ২০১২ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান। তৎকালীন বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল আইসিসির দায়িত্ব পেলে শূন্যপদে বসেন নাজমুল হাসান। ২০১৩ সালের বোর্ড নির্বাচনের মাধ্যমে নেন পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব। এরপর টানা তিন মেয়াদে তার হাতেই থাকে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ দায়িত্ব। ২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২০২১ সালেও তিনিই প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন।
ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে অভিজ্ঞ নাজমুল হাসান ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত পালন করেছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধানের দায়িত্ব। এছাড়া, ২০০৮ সাল থেকে আবাহনী ক্রিকেট দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে এসেছেন তিনি।
নাজমুল হাসানের অধীনে দেশের ক্রিকেট বোর্ড পরিণত হয়েছে অন্যতম ধনী বোর্ডে। একটা সময় বিশ্ব ক্রিকেটের প্রতাপশালী অনেক দেশের চেয়ে আর্থিকভাবে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। মাঠের ক্রিকেটেও বাংলাদেশ পরিণত হয় সমীহ জাগানিয়া দলে।
তবে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে শেষ পর্যন্ত বিসিবিতে থাকতে পারলেন না নাজমুল হাসান। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি পেয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীত্ব। শপথ অনুষ্ঠানের পর বলেছিলেন, চলতি বছরের শেষেই হয়ত ছাড়তে পারেন দায়িত্ব। কিন্তু বছর শেষের আগেই ছাড়তে হলো পদ। কিন্তু, এভাবে ছাড়তে হবে, তা হয়ত তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি কখনো।