ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়মসহ নানা অভিযোগের তীর পরিদপ্তরটির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের। তার অপসারণ চান তারা। তা না হলে আমরণ অনশন এবং সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি পরিদপ্তরের সকল ক্রীড়া কর্মকর্তাদের।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে ক্রীড়া পরিদপ্তর। প্রতিটি জেলা ও বিভাগে সরকারি এই পরিদপ্তর ক্রীড়া অফিসারদের মাধ্যমে খেলার সরঞ্জাম বিতরণ, প্রতিভা অন্বেষণসহ তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করে থাকে। একজন পরিচালকের অধীনে পরিচালিত হয় এসব কার্যক্রম। বর্তমান পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের শেষ নেই। চাকরি স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, পেনশনের ফাইল আটকে রেখে ঘুষ গ্রহণের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুধু ঘুষ নয় বিভিন্ন সময় বিনা কারণে তরিকুল ইসলামের দুর্ব্যবহারের স্বীকার হয়েছেন অনেকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনকে সমর্থন করার জন্যও তার কাছে হেনস্থা হতে হয়েছে কয়েকজনকে, এমন দাবি ক্রীড়া কর্মকর্তাদের।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের ক্রীড়া কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলন যখন শুরু হয়েছে, আমি আমার বিবেকের তাড়নায় এই আন্দলনে শরিক হই। এই যে আন্দলনে শরিক হই, এই তথ্যটি তিনি পেয়েছেন। তথ্যটি পাওয়ার পর তিনি আমাকে জুলাই মাসে পর পর তিনটি ‘শোকজ’ করেছেন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এবং গত দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে আমাকে উনি নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছেন। অবিলম্বে আমরা এই ধরনের পরিচালকের অপসারণ চাই।’
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারিরাও তটস্থ থাকেন তরিকুল ইসলামের ভয়ে। সরকারি ছুটির দিনও তার ব্যক্তিগত কাজ করে দিতে হয়। নাহলে শুনতে হয় কটু কথা। স্বীকার হতে হয় বৈষম্যের বলে দাবি করেছেন অনেকে। এমন অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ক্রীড়া পরিদপ্তরের বারান্দায় মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। অংশ নেন পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তা ও সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষরা।