স্কোরবোর্ডে ৮২৩ রান, মুলতানে চলছে ইংলিশদের রাজত্ব
মুলতান টেস্টের শুরুর দিন থেকেই নিষ্প্রাণ উইকেট। টানা সাড়ে তিনদিন ধরে চলে ব্যাটারদের রাজত্ব। প্রথমে পাকিস্তানি ব্যাটারদের আগ্রাসন। এরপর ইংলিশরা দেখিয়েছেন আরও ভয়ংকর রূপ। পাকিস্তানের পাঁচশ ছাড়ানো ইনিংসের বিপরীতে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে রান তুলেছে ৮২৩!
টানা চারদিন ব্যাটারদের দাপটের পর এই টেস্টের ফল মোটামুটি সবাই ধরে নিয়েছিল ড্র। কিন্তু না, মুলতানে ঠিক দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে মুদ্রার উল্টা পিঠ দেখেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান নিয়ে আজ চতুর্থ দিন শেষ করেছে তারা। ফলে এই টেস্টেও বড় জয়ের আশা জেগেছে ইংল্যান্ডের। ১১৫ রান পিছিয়ে থেকে আগামীকাল শুক্রবার শেষ দিনে ব্যাট করতে নামবে পাকিস্তান। ম্যাচ বাঁচাতে হলে পুরো দিন উইকেটে টিকে থাকতে হবে তাদের। নয়ত ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেবে ইংলিশরা।
আজ প্রথম ইনিংসে শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ৮২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা দেয় ইংল্যান্ড। টেস্ট ইতিহাসে এ নিয়ে মাত্র চতুর্থবার ইনিংসে ৮০০ রান উঠল। যার তিনটিতেই নাম ইংল্যান্ডের। একটি শ্রীলঙ্কার। কলম্বোতে ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে করা ৯৫২ রানের ইনিংস নিয়ে সবার উপরে তারা। তবে তিনবার করে সর্বোচ্চ সংখ্যায় নামটা ইংলিশদের।
মুলতানে ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১৭ রানের ইনিংস খেলেন হ্যারি ব্রুক। ৩২২ বলের ইনিংসে ২৯ চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা মারেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে তার সাথে জো রুট করেন ক্যারিয়ার সেরা ২৬২ রান।
রুট-ব্রুক জুটিতে আসা ৪৫৪ রান টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালে জস বাটলার ও জ্যাক ক্রলি মিলে তুলেছিলেন ৩৫৯ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে এক ইনিংসে দুই ব্যাটারের ডাবল সেঞ্চুরি এর আগে একবারই দেখা গিয়েছিল। সেটিও প্রায় ৩৯ বছর আগে। এত বছর মুলতানে দেখা গেল আরেকবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৫৬
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৫০ ওভারে ৮২৩/৭ (ডিক্লে.) (রুট ২৬২, ব্রুক ৩১৭, স্মিথ ৩১, ওকস ১৭*, অ্যাটকিনসন ২, কার্স ৯*; আফ্রিদি ২৬-১-১২০-১, নাসিম ৩১-০-১৫৭-২, আবরার ৩৫-০-১৭৪-০, জামাল ২৪-০-১২৬-১, সালমান ১৮-০-১১৮-১, সাইম ১৪-০-১০১-২, শাকিল ২-০-১৪-০)।
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ৩৭ ওভারে ১৫২/৬ (শফিক ০, সাইম ২৫, মাসুদ ১১, বাবর ৫, শাকিল ২৯, রিজওয়ান ১০, সালমান ৪১*, জামাল ২৭*; ওকস ৮-১-২৯-১, অ্যাটকিনসন ১০-২-২৮-২, বাশির ৬-০-৩২-০, কার্স ১০-১-৩৯-২, লিচ ৩-০-২০-১)।