বাফুফে সভাপতির সামনে চ্যালেঞ্জের পাহাড়
তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি হবেন, এমনটি কি তিনি ভেবেছিলেন তিন মাস আগেও? না ভাবারই কথা। কাজী সালাউদ্দিন দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সভাপতি ছিলেন, প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবারও নির্বাচন করার। হঠাৎ করে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে সেটি আর হয়নি। সুযোগ লুফে নেন তাবিথ আউয়াল। অনেকটা ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে হন দেশের ফুটবলের অভিভাবক।
গত ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচনে জিতে ৬ নভেম্বর প্রথমবার বাফুফে ভবনে যান তিনি। দেখা করেন সাফজয়ী নারী দলের সঙ্গে। বাফুফের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। তবে, আনন্দের মাঝে চ্যালেঞ্জও আছে তাবিথ আউয়ালের। দেশের ফুটবল গত ১৬ বছরে কেবল পিছিয়েই গেছে। যেদিকে নজর দেবেন, সেদিকেই হাহাকার।
ঘরোয়া ফুটবলের মান নেই, অবকাঠামোগত উন্নয়ন নেই, জাতীয় দলের ফুটবলাররা ঠিকঠাক সুবিধা পান না, নারী দল তো বেতন ভাতাই পান না নিয়মিত, জেলার ফুটবলের অবস্থাও বেহাল—বলতে গেলে শেষ হবে না সহজে। এরসঙ্গে দুর্নীতি তো ছিলই।
আগামী চার বছরের জন্য বাফুফের সভাপতি হওয়া তাবিথের সামনে তাই চ্যালেঞ্জের পাহাড়। তিনি অবশ্য আশাবাদী, সবাইকে নিয়ে নতুনভাবে গড়ে তুলবেন দেশের ফুটবলকে। ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবেন সাবেক এই ফুটবলার। দেশের ফুটবলের অবস্থা খারাপ হলেও বাফুফে এখনও ব্র্যান্ড, সেই ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগিয়ে ফুটবলকে পুরোনো রূপে ফিরিয়ে নিতে চান নতুন সভাপতি। যদিও সেই পথ কতটা কঠিন, তা ভালো করেই জানেন বাফুফে প্রধান।