এত বাধা ডিঙিয়ে কতদূর যাবে বাংলাদেশ?
একদিকে প্রত্যাশা, অন্যদিকে চাপ। অ্যান্টিগা টেস্টের আগে বাংলাদেশ দলের অবস্থা এমন। প্রতিটি সিরিজ শুরুর আগে দলের ওপর প্রত্যাশা থাকে। কখনও তা প্রাপ্তিতে পরিণত হয়, কখনও হতাশায়। সর্বশেষ দুটি সিরিজে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্তরা পেয়েছে হতাশা। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরপর সিরিজ হার, টানা চার ম্যাচে পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের দৈন্যতা। ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি একটি ম্যাচেও।
তিক্ততায় ভরা দুটি সিরিজ শেষে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যারা নিজেরাও তাদের শেষ সিরিজে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। বাংলাদেশের মতো সেই হার ঘরের মাঠে। ঘরে হেরে বাংলাদেশ এখন পরের বাড়িতে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। যে ম্যাচে প্রথমবারের মতো সাদা পোশাকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
আজকের ম্যাচেই সাদা পোশাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ৫০টি টেস্ট খেলার অর্জন গড়বেন মিরাজ। এমন দিনে মাঠে নামার আগে তার সামনে চাপের বোঝা। চোটের কারণে নেই নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তা ছাপিয়ে আরেকটি বড় ব্যাপার হচ্ছে, এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করছে পঞ্চপাণ্ডবহীন টেস্ট যুগে। এর আগে তাদের ছাড়া দুটি টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ (২০২২ ও ২০২৪ সালে), তবে অন্তত স্কোয়াডে ছিলেন কেউ না কেউ! পাঁচ পাণ্ডবের কেউ নেই স্কোয়াডে, ২০০৯ এর পর এবারই প্রথম হচ্ছে সেটি। মিরাজ পরামর্শ নেওয়ার মতো সিনিয়র কাউকেই প্রায় পাচ্ছেন না!
এবার আসা যাক দুদলের মুখোমুখি পরিসংখ্যানে। ২০০৯ সালে ভঙ্গুর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৫ বছর পর এটিই সাফল্য। দুদলের ১০ দেখায় ক্যারিবীয়রা জিতেছে সাতটিতে। একটি ড্র। আর সেই সিরিজের পর দ্বীপদেশে ছয়টি টেস্ট খেলে সবগুলোতে পরাজিত দলের নাম বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে শুরু হতে চলা ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে অনেক প্রতিবন্ধকতা। পঞ্চপাণ্ডব নেই, অধিনায়ক শান্ত নেই, টানা হারের গ্লানি—ব্যর্থতা বলে শেষ করা যাবে না। তবু, মানুষ আশায় বাঁচে। আশা করা ছাড়া উপায়ই বা কী!