স্মরণীয় জয়ে আইসিসি থেকে সুসংবাদ পেল বাংলাদেশ
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে গ্রেনাডা টেস্টের পর ক্যারিবীয়দের মাটিতে সাদা পোশাকে জয় পেতে সফরকারীদের অপেক্ষা করতে হয় ১৫ বছর। অবশেষে মেহেদী মিরাজের নেতৃত্বে অনেকটা তারুণ্যনির্ভর এক দল নিয়েই সেই আক্ষেপ ঘোচালো ফিল সিমন্স শিষ্যরা। এমন স্মরণীয় জয়ে আইসিসি থেকেও মিলল সুসংবাদ।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আইসিসির হালনাগাদকৃত সর্বশেষ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের র্যাঙ্কিংয়ে একধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ হারের পর ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হেরে তলানীতে নেমে যায় বাংলাদেশ। কিংসটন টেস্টে ১০১ রানের বড় জয়ে আটে উঠে এসেছে সফরকারীরা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেমে গেছে তলানীতে।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর অনেকেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপার দৌড়ে বাংলাদেশওকে দেখছিল। কিন্তু সময়ের সাথে বদলে যায় দৃশ্যপট। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ধরাশায়ী হওয়ার কারণে এক সময়ে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে চারে থাকা বাংলাদেশ এখন আটে। ছিটকে গেছে ফাইনালের দৌড় থেকেও।
আগামী জুনে লর্ডসে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালের দৌড়ে সবার ওপরে অবস্থান ভারতের। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হলেও র্যাঙ্কিংয়ে তার প্রভাব পড়তে দেননি রোহিতরা। ঠিকই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থে তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়। আর এতেই ১৫ ম্যাচে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে টিম ইন্ডিয়া। পিছিয়ে নেই মাইটি অস্ট্রেলিয়াও। ১৩ ম্যাচে ৯০ পয়েন্ট বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি পেয়েছে দুই দলই। কাটা গেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট। আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই দলই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিন ওভার কম করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ওভারের জন্য টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের এক পয়েন্ট করে কাটা হবে।
সেই হিসেবে তিন পয়েন্ট করে হারিয়েছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় এখন কিউইরা অবস্থান করছে পাঁচ নম্বরে। কিউইদের সাফল্যের হার ৪৭.৯২ শতাংশ। ইংল্যান্ড অবস্থান করছে ৬ নম্বরে। তাদের সাফল্যের হার ৪২.৫০ শতাংশ।