দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিপিএল, অনুশীলনে ব্যস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো
আর দিন তিনেকের অপেক্ষা। এরপরই মাঠে গড়াবে বিপিএলের আসন্ন আসর। ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতাটি। বিপিএলের একাদশ আসরে সাত দল অংশ নিচ্ছে। শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতিতে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো।
মাঠে ডিজিটাল বোর্ড বসানোর কাজ প্রায় শেষ। এবার বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি এসব বোর্ডে ‘জুলাই–আগস্টে’র আবহও ফুটে ওঠার কথা। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড গ্যালারিতে একদল তরুণের ভিড়। তারা এসেছেন বিপিএলের স্বেচ্ছাসেবক হতে। সে আনুষ্ঠানিকতার আগে মাঠটাকে পেছনে রেখে চলছিল সেলফি তোলার উৎসব। একই রকম ভিড় দেখা গেল বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের রুমের সামনে। সেই ভিড় বিপিএল–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কমিটির অথবা কমিটিতে ঢুকতে ইচ্ছুক লোকজনের।
মোটকথা, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের যেখানেই যাবেন, এখন বিপিএল ছাড়া আর কিছু চোখে পড়বে না। সবার মধ্যে ব্যস্ততা আর উৎসব, শুধু অনুশীলন কাভার করতে আসা সাংবাদিকেরা ছাড়া। তারা বরং কিঞ্চিৎ ক্ষুব্ধই ছিলেন বৃহস্পতিবার।
ক্ষোভের কারণ, সংবাদমাধ্যমকে অনুশীলন দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এ রকম তো হওয়ার কথা নয়। বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর খেলার একটা বড় কার্যকারণই হলো প্রচার। ঘোমটা দিয়ে অনুশীলন করলে সেটা হবে কী করে!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার ভাষ্য, অনুশীলনের সময় একাডেমি মাঠের যে জায়গাটাকে ক্রিকেটাররা ডাগআউট হিসেবে ব্যবহার করেন, তার ঠিক ওপরে মিডিয়া প্লাজার লোহার বেষ্টনীর পাশে দাঁড়ান সাংবাদিকেরা। জায়গাটা মাঠের অল্প ওপরে হওয়ায় ক্রিকেটারদের কথাবার্তা, চলাফেরা সবই ধরা যায় ক্যামেরায়। দুষ্টামি করে কেউ কিছু করলে সেটাও হয়ে যাচ্ছে ‘ভাইরাল কনটেন্ট’। তাতে করে খেলোয়াড়দের ‘প্রাইভেসি’ বলে আর কিছু থাকছে না।
ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “আমি জানিও না। সত্যি কথা বলতে ঢাকা ক্যাপিটালসের কারো সাথে আমার কথা হয়নি, জানায়ওনি। অবশ্যই বিসিবির কর্তারা সিদ্ধান্ত নেবে, কী করতে হবে না করতে হবে।”
ঢাকা থেকে বিপিএল চলে যাবে সিলেটে। হোম টিম সিলেট স্ট্রাইকার্সকে দিয়েই ৬ জানুয়ারি শুরু হবে সিলেট পর্ব। ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিপিএল থাকবে চায়ের শহরে। রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে এই পর্ব।
সিলেট থেকে দলগুলো সরাসরি চলে যাবে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। সেখানেও ম্যাচ হবে মোট ১২ টি। ঘরের দল চট্টগ্রাম কিংস সাগরিকায় খেলবে ৫ টি ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শেষ হবে বিপিএল ২০২৫ এর চট্টগ্রাম পর্ব।
সিলেট, চট্টগ্রাম ঘরে বিপিএল আবার ফিরবে হোম অব ক্রিকেটে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই হবে আসরের বিগ ম্যাচ গুলো। এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ গুলো হবে এখানেই। ৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুরেই হবে বিপিএলের জমকালো ফাইনাই।