ছুটির দিনে
কাশফুলের দোলায় দিয়াবাড়ীতে

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে মুগ্ধপ্রাণ-প্রকৃতি কেবলই আবেশ ছড়িয়ে দেয়। এর কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আনন্দযজ্ঞের এই লীলানিকেতন বাংলাদেশে একের পর এক ঋতুর আগমন ঘটে। এর মধ্যে শরতের রূপ অন্য যেকোনো ঋতুর থেকে ভিন্ন। প্রকৃতি জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। ঋতুবৈচিত্র্যের বহুবর্ণিল আবহ নিয়ে আছে আমাদের প্রকৃতি। শরৎ প্রকৃতির মধ্যে একটা নতুন আবেগের সৃষ্টি করে। রৌদ্র আঁধারির খেলায় যে কারো মন বিলীন হয়ে যেতে চায় প্রকৃতির সঙ্গে। শহুরে জীবনে শত ব্যস্ততার মধ্যে যে কেউ খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারেন রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র থেকে স্বল্পদূরত্বে দিয়াবাড়ীতে।
যা দেখবেন
দিয়াবাড়ীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে নিয়ে যাবে শুভ্রতায় পরিপূর্ণ কোমল এক রাজ্যে। শরৎকালে উপভোগ করে আসুন কাশফুলের কোমল পরশ আর সাদা সাদা নরম মেঘের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসা সোনাঝরা রোদ। পশ্চিমে হেলে পড়া সেই সূর্যের কিরণ যখন কাশফুলের ওপর পড়ে, তখন এ দুইয়ের মিথস্ক্রিয়ায় অদ্ভুত এক আভা প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে, যা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। যত দূরে চোখ যায়, দৃষ্টিজুড়ে শুধু কাশবন আর কাশবন। বিস্তীর্ণ এলাকা যেন শুভ্রতার চাদরে মোড়া এক অপরূপ সৌন্দর্যের রাজ্য। কাশফুল শোভন শুভ্র ফুল। চোখে পড়লেই আমরা বুঝে নিতে পারি আবহমান বাংলায় এখন শরৎকাল। বিস্তীর্ণ নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলের সমারোহ শরৎ প্রকৃতির এক নান্দনিক রূপ। চারদিকে সুনসান নীরবতা। একটু পর পর সেই নীরবতা ভেঙে সাঁই সাঁই করে উড়ে যায় উড়োজাহাজ। অদ্ভুত সুন্দর একটি দৃশ্য। খুব কাছ থেকে উড়োজাহাজ ওড়া দেখতে চাইলে এর চেয়ে ভালো কোনো জায়গা হবে না। মাথা উঁচু করে উড়ে যাওয়া উড়োজাহাজ দেখা মনে করিয়ে দেবে হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলাকে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে উত্তরা রুটের যেকোনো বাসে চড়ে হাউস বিল্ডিং বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। সেখানে নর্থ টাওয়ার ও মাসকট প্লাজার সামনেই দেখতে পাবেন দিয়াবাড়ী যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ রিকশা। রিকশায় না চড়তে চাইলে উঠে পড়তে পারেন লেগুনায়। লেগুনা আপনাকে নামিয়ে দেবে সরাসরি দিয়াবাড়ী বটতলায়। লেগুনার ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা (উৎসবের দিন)। আর সেখানে রিকশা ভাড়া উৎসবের দিন ৮০ থেকে ১০০ টাকা।