ঈদের ছুটিতে সাইকেলে ভ্রমণ

সাইকেল চালাতে কে না ভালোবাসে। এটি শুধু যাত্রাপথের সময়ই বাঁচায় না, এটি চালনায় মন থাকে প্রফুল্ল , শরীর থাকে সুস্থ। দলবদ্ধ চালনায় তৈরি হয় একটি কমিউনিটি। ব্যস্ত এই নগরীতে সময় বের করে অনেকেই সাইকেলকে তার বাহন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আসছে ঈদের ছুটিতে আপনি আপনার সাইকেলটি নিয়ে কোলাহলমুক্ত ঢাকার আশপাশে ঘুরে আসতে পারেন। ঢাকার আশপাশের কিছু রুট, যা কি না আপনি একদিনেই শেষ করতে পারবেন। আর প্রতিটি গন্তব্যের জন্য মানিক মিয়া এভিনিউকে যাত্রা শুরুর স্থান হিসেবে বিবেচনা করছি। আপনার সাইকেলটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন যে রুটটি পছন্দ হয় সেটিতে।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
১. পাম্পার
২. লুব অয়েল
৫. এলেংকি
৬. চেন পরিষ্কার করার জন্য এক টুকরো নরম কাপড়।
৩. অতিরিক্ত একটা টিউব (চাকার মাপে)
৫. প্যাচ কিট
সুরক্ষার জন্য যা যা লাগবেঃ
১. হেলমেট
২. গ্লাভস
৩. পানির বোতল
৪. খেজুর
৫. গ্লুকোজ
৬. মাস্ক
৭. ম্যাংগোবার
৮. স্যালাইন
৯. গগলস
সাইকেল চালাতে কী কী সতর্কতা মেনে চলবেন :
১। রাস্তার বাঁ দিক ঘেঁষে সাইকেল চালাবেন।
২। গ্রুপে রাইড দিলে সামনে গর্ত, ব্রেকার ইত্যাদি পড়লে কল দেবেন, যেন পেছনের সবাই সতর্ক হয়ে যায়।
৩। অযথা ওভারটেক করবেন না।
৪। গিয়ার কম্বিনেশনগুলো বুঝে ঠিক করবেন, যাতে পায়ে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।
অবশ্যই মনে রাখবেন যে ব্যাপারটি :
মনে রাখবেন, যেখানেই যান পরিবেশ ময়লা করে আসবেন না। ময়লা ফেলার জায়গা না পেলে প্যাকেট করে নিয়ে এসে ডাস্টবিনে ফেলুন।
রুট :
১। মানিক মিয়া এভিনিউ-খুদের ভাত, কেরানীগঞ্জ
২। মানিক মিয়া এভিনিউ-পানাম নগর, নারায়ণগঞ্জ
৩। মানিক মিয়া এভিনিউ-জাহাঙ্গীরনগর
৪। মানিক মিয়া এভিনিউ-মৈনট
৫। মানিক মিয়া-গোলাপ বাগান
১। কেরানীগঞ্জ
মানিক মিয়া থেকে ১৫-১৬ কিলোমিটার।
যদি ইচ্ছা হয় পাঁচ-ছয় পদের ভর্তা, ডিম ভাজি দিয়ে খুদের ভাত খেতে, তাহলে একটু ভোরে বেরিয়ে পড়ুন মানিক মিয়া থেকে। আসাদগেট, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, রায়েরবাজার বধ্যভূমি পার হয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু/ বছিলা সেতুতে উঠে একটু পানি খেয়ে দু পাশের প্রকৃতি দেখুন কিছুক্ষণ। নদীর কালো পানিতে চলাচল করছে বালুবাহী যান।
প্রকৃতি দেখে যাত্রা শুরু করুন। কয়েকটি পথের মধ্যে একটি পথের কথা বলব। বছিলা সেতু থেকে নেমে হাতের বাঁয়ে ঝাউচর-ভাঙ্গাবাড়ি রাস্তা দিয়ে খোলামোড়া-হযরতপুর সড়কে উঠুন। সেখান থেকে কোনাখোলা বাসস্ট্যান্ড হয়ে রুহিতপুরের দিকে চলতে থাকুন। হাতের বাঁয়ে সালাম চেয়ারম্যান সড়ক ধরে এগিয়ে গেলেই পেয়ে যাবেন সোহানা হোটেল।
নাশতা করে ভিন্ন পথে ফিরতে পারেন, এ ক্ষেত্রে সামাদ মাস্টার সড়ক দিয়ে রামের কান্দা, কলাতিয়া বাজার, মধু সিটি, শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ ফিরে আসুন।
এ ক্ষেত্রে মোট দূরত্ব হবে প্রায় ৪০ কিলোমিটার।
২। পানাম নগর
মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু করে হাতিরঝিল, রামপুরা, মেরাদিয়া বাজার, আমুলিয়া হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার বাসস্টপে গিয়ে সকালের নাশতা খাবার বিরতি। এরপর সুলতানা কামাল সেতু পার হয়ে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে প্রথমে যাবো পানাম নগর সোনারগাঁ। সাইকেল নিয়ে ঢুকতে দেয় না। তবে অনুরোধ করলে সাইকেল নিয়ে ঢোকা যায়। টিকেট কেটে ঢুকতে হয়। পানাম নগর বেড়ানো শেষ হলে শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে যেতে পারেন। হালকা নাশতা করে বাংলার তাজমহলের পথে মদনপুর হয়ে রওনা দিন। বাংলার তাজমহল ঘোরা শেষ হলে তারাবো, সুলতানা কামাল সেতু হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ চলে আসুন। এই রুটে হাইওয়ে ধরে সাইকেল চালাতে হবে। তাই চালানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
এ ক্ষেত্রে মোট দূরত্ব হবে প্রায় ৮০ কিলোমিটার।
বাকি রুটগুলো থাকছে পরবর্তী সময়ে ।