অচিরেই সরকারের পতন হবে : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আপনারা দেখেছেন বাতি নিভার আগে জ্বলে ওঠে। সরকারের অবস্থাও তাই। সরকারের বর্তমান কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে পতনের শেষ শিখা জ্বলে উঠছে মাত্র। এটা নিভে যাবে। কখন নিভে যাবে, তা তারা নিজেরাও টের পাবে না। অচিরেই সরকারের পতন হবে।
শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল কেরাণীগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে পুলিশের হামলা, গুলিবর্ষণ ও নারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় গয়েশ্বর রায় বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বেতন জনগণের টাকায় হয়, সরকার দেয় না। তারা যা খুশি তাই করতে পারেন না। গতকাল কেরাণীগঞ্জ থানার ওসির মুখ দিয়ে যে বক্তব্য বেরিয়েছে তা অতি সাম্প্রদায়িক। আওয়ামী লীগের একমাত্র ভরসাতো হচ্ছে হিন্দুদের ভোট, আর মালায়ন বললে তো হিন্দুদেরই বোঝানো হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের পোশাক পরিধানকারী ওসির মুখ থেকে এ ধরনের বক্তব্য গর্হিত কাজ। এখন তাঁর পোশাক পরার অধিকার আছে কিনা এটা বিবেচনা করতে হবে।
গয়েশ্বর রায় আরও বলেন, আমরা কুমিল্লার ঘটনা দেখেছি। সেখানে পুলিশ বক্তব্য দিয়ে কীভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। আমরা সে ধরনের পরিস্থিতি চাই না। গতকালের ঘটনার দায় সরকারকে বহন করতে হবে। সেটা পুলিশ হোক ছাত্রলীগ হোক বা যুবলীগ হোক। সেখানকার জনপ্রতিনিধিকে এর জবাব দিতে হবে। দেশটাকে স্বাধীন করার সময় হিন্দু মুসলিম দেখিনি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর আমরা এ ধরনের বক্তব্যের জন্য প্রস্তুত নই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমি সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, গতকালের ঘটনার বিচার না করলে কেরাণীগঞ্জের জনগণ এর বিচার করবে। আজকে সারা কেরাণীগঞ্জের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। ভোর থেকে হাজার হাজার মহিলা-পুরুষ এখানে এসেছে। গতকাল বিএনপি নেতার বাড়িতে তার অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে দেখতে যেতে চেয়েছিল নিপুণসহ নেতাকর্মীরা। তাদের ওপর হামলা হয়েছে। ৮৫ বছরের নারীর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। শত শত মানুষ আহত হয়েছে। নারী নির্যাতনের নির্লজ্জ চিত্র সারা বিশ্বে ফুটে উঠেছে। এটি আরেকটি জ্বলন্ত উদাহরণ। পুলিশের হুমকিতে আমরা ঘরে বসে থাকব না। সাংবিধানিক অধিকার সভা সমাবেশ করার। যারা বাধা দেয় তারা সংবিধান লঙ্ঘন করছে।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আমি গতকালের হামলার বিচার দাবি করছি। ওসির বক্তব্যের বিচার দাবি করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যদি এর বিচার না করে, তাহলে জনগণ এর বিচার করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, নিপুণ রায় চৌধুরী, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।