অন্যের স্ত্রী সেজে পেনশন আত্মসাৎ, ৭ বছরের কারাদণ্ড
অন্যের স্ত্রী সেজে পেনশনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় শেফালী বেগম নামের এক নারীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হামিদুর রহমান ১৯৮৬ সালে অবসর গ্রহণের পর নিজে পেনশন গ্রহণের পর ১৯৯৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। তাঁর স্ত্রী আগেই মারা যান। ছেলেমেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্ক থাকায় পেনশন-বিধি অনুযায়ী তাঁর পেনশন কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।
হামিদুর রহমানের মৃত্যুর ৮ বছর পর ২০০৭ সালের ২৮ মে আসামি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস শেফালী বেগম হামিদুর রহমানের একমাত্র বিধবা স্ত্রী সেজে পারিবারিক পেনশনের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের সমর্থনে তিনি হামিদুর রহমানের সঙ্গে বিয়ের দুটি ভুয়া কাবিননামা, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দাখিল করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ের পেনশন বাবদ হামিদুর রহমানের ভুয়া স্ত্রী সেজে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সাত লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন শেফালী বেগম।
ভুয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ও মিথ্যা কাবিননামা দিয়ে হামিদুরের বউ সেজে অর্থ আত্মসাৎ করায় শেফালির বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক সোহানা আক্তার শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ৮ মে তদন্ত কর্মকর্তা সোহানা আক্তার তার তদন্তে এবং প্রাপ্ত সাক্ষ্যের ভিত্তিতে শেফালি বেগমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ আসামি শেফালি বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।