অর্থপাচার : এনু-রুপনসহ ১১ জনের সাত বছর করে কারাদণ্ড
বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগনেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু, তাঁর ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনকে মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শওকত আলম এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন—মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল পলাতক।
অপরদিকে, আসামি তুহিন জামিনে রয়েছেন। বাকি ছয় আসামি কারাগারে।
এর আগে গত ১৬ মার্চ এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাই এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে সিন্দুকভর্তি টাকা ও গয়না জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। সব মিলিয়ে ওই অভিযানে পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, আট কেজি স্বর্ণালঙ্কার এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব। সেখানে কর্মচারী কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে চার তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব-৩-এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ওয়ারি থানায় মামলা করেন।
এরপর ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী।