অর্থপাচার মামলায় আগাম জামিন নিতে এসে হাজতে
অর্থপাচার মামলায় শঙ্খদাস বড়ুয়াকে (৪৬) আগাম জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন ও তাপস কুমার বিশ্বাস। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসান বাদী হয়ে রাঙামাটি সদর থানায় গত ১৯ অক্টোবর শঙ্খদাসের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলাটি করেন। এ মামলায় তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘শঙ্খদাস বড়ুয়ার আগাম জামিন শুনানির সময় আদালত তাঁর বিষয়ে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কাছে খবর নিতে আমাকে মৌখিক নির্দেশ দেন। কথা বলে অবহিত করার পর আদালত পুলিশ সুপারকে জুম আইডির মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন। তখন রাঙামাটির পুলিশ সুপার জুম আইডির মাধ্যমে হাইকোর্টে সংযুক্ত হন। আদালত পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বিস্তারিত শোনেন।’
এরপর আদালত আসামির আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সরাসরি হাজতে নেওয়ার জন্য শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শঙ্খদাস বড়ুয়া মা-বাবা টিম্বার অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার ব্যবসার আড়ালে মূলত চাঁদাবাজি করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড ও গ্রামীণ ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন শাখায় মোট নয়টি হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। এসব হিসাব থেকে সর্বমোট ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ৭১ হাজার ৭২৪ টাকা উত্তোলন করা হয়। তার মানি লন্ডারিংয়ের পরিমাণ আনুমানিক এক কোটি ৩০ লাখ টাকা।