আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সভা শুরু হয়। এর পর শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।
করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অনেকটাই সাদামাটা হচ্ছে এবারের সম্মেলন। এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
প্রতিটি সম্মেলনের মতোই এবারের সম্মেলনেও রয়েছে আওয়ামী লীগের ব্যতিক্রমী প্রত্যয় বা স্লোগান। এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। এই বিষয়টি সামনে রেখেই সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।’
এরই মধ্যে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করছেন। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও রমনা কালীমন্দির গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন তারা। এদিকে সকাল ৭টা থেকে সম্মেলনে ঢোকার গেট খুলে দেওয়া হয়। ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পদ্মা সেতুর ওপরে নৌকার আদলে তৈরি হয়েছে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৪ ফুট প্রস্থের মঞ্চ । মূল মঞ্চের উচ্চতা হবে ৭ ফুট। সাংস্কৃতিক পর্বের জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা মঞ্চ। মূলমঞ্চে চার লেয়ারে চেয়ার সাজানো হবে। প্রথমে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বসবেন। দ্বিতীয়টিতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সিনিয়র নেতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাকি দুটোতে কেন্দ্রীয় নেতারা। মোট ১২০টি চেয়ার রাখা হয়েছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কিছুটা কৃচ্ছ্রতা সাধনের লক্ষে সম্মেলনে সাদামাটা আয়োজনের জন্য এ বছর বিদেশিদের দাওয়াত করা হয়নি। তবে সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, জাতীয় পার্টি, বিএনপিসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে দাওয়াত করে আওয়ামী লীগ।