আওয়ামী লীগ মালিক সমিতিতে পরিণত হয়েছে : আলাল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘আজকে যারা আওয়ামী লীগ করে তা আওয়ামী লীগ নয়, তারা আওয়ামী লীগ মালিক সমিতি। মন্ত্রী জব্বারের বিজয় কী-বোর্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আজ সরকারি ঘরানার না হলে কোনো ব্যবসায়ী বা ঠিকাদার কাজ পায় না। সরকার সমর্থক না হলে মিলছে না চাকরি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আজ শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর এক আলোচনা সভায় আলাল এসব কথা বলেন। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।
আলাল বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগকে উচ্চতর স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি মানুষের গুণাবলির প্রকাশ করার সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত। তার প্রশংসা ও গুণগান এত পরিমাণে করা হচ্ছে যে তার ছবি টিস্যু, পায়ের মোজা এমনকি অপ্রকাশযোগ্য স্থানেও সে মানুষটির ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।’
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে বিশ্লেষণ করলে জিয়াউর রহমান অনেক ঊর্ধ্বে। তাকে উঠানোর কিছু নেই। তার স্থান মানুষের হৃদয়ে। তিনি রাজনীতিতে সহাবস্থান তৈরি করেছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রনায়ক। তার সততা ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে দেশব্যাপী অবগত। তিনি গণতন্ত্র হত্যা করেননি বরং বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছিলেন। বিএনপি জিয়াউর রহমানকে তুলে ধরার জন্য ৩০ মে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেনি, জিয়ার নামে সেতু বা বড়বড় স্থাপনা করেনি। কারণ, জিয়া মানুষের মনের মাঝে এমনিতেই স্থান করে নিয়েছেন।’
আলাল আরও বলেন, ‘আজকে দেশের বিচার বিভাগ ধ্বংসের পথে। বিচারকেরা স্বাধীনভাবে রায় দিতে পারছেন না। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতো প্রকাশের জন্য সভাসমাবেশ করতে পারছে না। গণমাধ্যম সত্য ঘটনা তুলে ধরতে পারছে না। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না।’
সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহীল মাসুদ, প্রফেসর ডা. হাসনাত আলী, প্রফেসর আবু জাফর খান, প্রকৌশলী রুহুল আলম প্রমুখ।