আজ কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল মিঠামইনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের হাওর–অধ্যুষিত উপজেলা মিঠামইন যাচ্ছেন। এই সফর উপলক্ষে উৎসব ও তাঁকে স্বাগত জানাতে কিশোরগঞ্জবাসী এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে মিঠামইনে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন। এরপর বিকেলে মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে তিনি উপজেলার কামালপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জন্মস্থান পরিদর্শন করবেন। তিনি বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করবেন।
শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে শুধু কিশোরগঞ্জের মিঠামইন নয়, পুরো হাওরাঞ্চলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ‘১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে এলে হেলিপ্যাড থেকে জনসভার মাঠে যাওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ থেকে দুটি রিকশা আনা হয়। কিন্তু রাস্তার জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে রিকশায় চড়ে সামনে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় কিছুক্ষণ পর তাঁকে রিকশা থেকে নামতে হয়। সে সময় রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ বছরে যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন, তা আমাদের কল্পনার বাইরে!’
রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ‘হাওর অঞ্চলে সেতু, কালভার্ট, রাস্তাসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করায় এ অঞ্চলের মানুষ আর বঞ্চিত থাকবে না। কিশোরগঞ্জের জলাশয়ের ওপর দিয়ে এলিভেটেড হাইওয়ে বাস্তবায়িত হলে হাওরাঞ্চলের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে।’
রেজওয়ান আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে কিশোরগঞ্জের মানুষ উৎসাহ ও অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে। সমগ্র জেলা ও অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ শেখ হাসিনাকে দেখতে সমাবেশে যোগ দেবে। হাওর অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সত্যিই ঋণী, কারণ তিনি এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।’ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বর্ণিল তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নেতারা বিলবোর্ড, ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
হেলিকপ্টারে মিঠামইনে গিয়ে সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এরপর সেনানিবাস থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কামালপুরের গ্রামের বাড়ি যাবেন। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে দুপুরের খাবার খাবেন ও বিশ্রাম নেওয়ার পর তিনি বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাডে সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করবেন। এরপর হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে দীর্ঘ দুই যুগ পর প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত হাওরবাসী। তাঁকে বরণ করে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এর আগে ১৯৯৮ সালে মিঠামইন সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।