আ.লীগ জনগণেক বিভক্ত করে রাষ্ট্রকে অস্থির করতে চায় : ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে হয়নি, জনগণের মাঝে জন্ম নিয়েছে। ধরে নিলাম, তাদের কথা সত্য। আওয়ামী লীগের জন্ম তো ক্যান্টনমেন্টে নয়, তারা কেনো গণতন্ত্র হত্যা করে? কোনো সৈনিক বা সেনাশাসকতো গণতন্ত্র হত্যা করেননি। এই আওয়ামী লীগ নিজেদের গণতান্ত্রিক দল বলে জাহির করার চেষ্টা করলেও এরা ক্ষমতায় এসেই গণতন্ত্রকে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ জনগণকে বিভক্ত করে রাষ্ট্রকে অস্থির করতে চায়।’
আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়া প্রজন্মদল আয়োজিত ‘রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাত কোটি মানুষের মধ্যে কতজন বিরোধিতা করেছিল? সে অজুহাত দিয়ে দেশকে আজ বিভক্ত করা হচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগের কী উদ্দেশ্য? বিভক্ত করে রাষ্ট্রকে অস্থির করতে চায়, আর সুযোগে তারা দেশের টাকা লুণ্ঠন করছে, হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের কী ভূমিকা ছিল? তাদের কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল না, পালিয়ে গিয়েছিল। সেদিন যদি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে দেশে মুক্তিযুদ্ধ হতো না, হতো গৃহযুদ্ধ। জিয়া জাতির ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে চলে যাননি। সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
মঈন খান বলেন, ‘দেশে রাজনীতির রেশ বলতে কিছু নেই। ৭২ থেকে ৭৫ সালে লিখিত বাকশাল ছিল, এখন অলিখিত বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যা হুকুম করে, তা জনগণকে মানতে বাধ্য করে। ক্ষমতাসীনদের অস্বাভাবিক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিতে হবে।’
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘দেশের মানুষ অসহায় অবস্থায় আছে। দিনমজুর, শ্রমিক ও কর্মী থেকে নেতা সবাই আজ উদ্বিগ্ন। আওয়ামী লীগ ষখনই ক্ষমতায় জাতি অস্থিরতায় থাকে।’
বরতক উল্লাহ বুলু বলেন, ‘সংসদ আজ আওয়ামী ক্লাবে পরিণত হয়েছে। এমপিরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে কথা বলছে না, শুধু শেখ হাসিনার বন্দনা। এমপিরা আজ বলছেন—শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষ আজীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যারা আপনার পিতার বেশি বন্দনা করেছিল, তারা তার মৃত্যুর পর লাশটিও দেখতে যায়নি।’
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শাহীনুুর মল্লিক জীবনের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন রুবেল।