ঈদ যাত্রায় ৩৪১ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৫৫, শীর্ষে মোটরসাইকেল
পবিত্র ঈদুল ফিতরে দেশের সড়ক-মহাসড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ৩৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৫৫ জন নিহত ও ৬২০ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আজ মঙ্গলবার (২ মে) সকালে বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরেন। সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতি বছরের মতো এবারো প্রতিবেদনটি তৈরি করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রার সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘ ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
ঈদযাত্রা শুরুর দিন ১৫ এপ্রিল থেকে দিন শেষে কর্মস্থলে ফেরা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ নিহত হয়েছে, ৫৬৫ জন আহত হয়েছে। বিগত ২০২২ সালের ঈদুল ফিতরে যাতায়াতের সাথে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ২ শতাংশ, প্রাণহানি ২১ দশমিক ১ শতাংশ, আহত ৩০ শতাংশ কমেছে। উল্লিখিত সময়ে রেলপথে ২৭টি ঘটনায় ২ নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১০টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৬৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৭ জন নিহত, ১২০ জন আহত হয়েছে। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ, নিহতের ৫১ শতাংশ এবং আহতের ২১ শতাংশ প্রায়।
এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৮ জন চালক, ১৬ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৪২ জন পথচারী, ৪৮০ জন শিশু, ১৭ জন শিক্ষার্থী, ১ জন সাংবাদিক, ৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৪ জন শিক্ষক, ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ৩২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় মিলেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় দৈনিক আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন দৈনিক এ প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।