এবারও চামড়াশিল্প রক্ষায় সরকার চরম ব্যর্থ : ন্যাপ
কয়েক বছরের মতো এবারও চামড়াশিল্প রক্ষায় সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে দাবি করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নেতারা বলেছেন, সরকারের ভুলনীতির কারণে গত কয়েক বছরে সিন্ডিকেট চামড়াশিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
গণমাধ্যমে আজ শুক্রবার পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেন।
ন্যাপ নেতারা বলেন, গত কয়েক বছরে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্যের বিপর্যয় থেকে উত্তরণের জন্য কোনো ধরনের কার্যকর উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করতে পারেনি। চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে অনেককে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলতে দেখা গেছে। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া কিনে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে না পারায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এর পেছনে কাজ করেছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। অথচ সরকার সেদিকে কোনো নজর দিচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করছে না।
নেতারা আরও বলেন, ১০ বছর আগে কোরবানির গরুর একটা চামড়ার দাম ছিল এক হাজার থেকে আঠারোশ টাকা। এখন সেই চামড়ার দাম মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যদিকে, চামড়াজাত সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। জনমণে প্রশ্ন, আসলে হচ্ছেটা কী?
ন্যাপেরা নেতারা বলেন, এ বছরও চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিক্রেতারা। কোথাও কোথাও নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হয়েছে। এ চামড়ার টাকার সম্পূর্ণ হকদার দেশের গরিব মানুষ। করোনায় বিপর্যস্ত দেশের নিম্নবিত্ত মানুষের কোনো দায়িত্ব নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তার ওপর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোরবানির পশুর চামড়া থেকেও গরিব মানুষের হক নষ্ট করা হয়েছে।